এজি কায়কোবাদঃ আসামি ধরতে গিয়ে গাজীপুরের শ্রীপুর থানা পুলিশের বিরুদ্ধে বাড়িঘর ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। এ সময় নারী ও শিশুসহ বাড়ির বেশ কয়েকজনকে পুলিশ সদস্যরা মারধর করেন বলেও দাবি ভুক্তভোগীদের।
উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের ফরিদপুর গ্রামের একাধিক পরিবারের অভিযোগ, শনিবার (২৩ এপ্রিল) দিবাগত রাতে শ্রীপুর থানার কয়েকজন পুলিশ সদস্য তাদের বাড়িতে গিয়ে এ ধরনের হয়রানি করেন।
তারা বলছেন, এ ঘটনার পর পুলিশের ভয়ে তাদের বাড়ির পুরুষরা আপাতত এলাকাছাড়া।
পুলিশ বলছে, আসামি ধরতে গেলে তাদের ওপর হামলা চালিয়েছে গ্রামবাসী। ঘটনার পর থেকে ওই গ্রামের অন্তত ২০টি বাড়ি পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে।
এ বিষয়ে এএসআই মো. শাহিনুর ইসলাম বলেন, “থানায় অভিযোগ করা মাহমুদা নামের এক নারীর জমি বায়নার টাকা দেওয়ার কথা থাকলে ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে গেলে অভিযুক্ত লাইছুদ্দিন সম্পূর্ণ টাকা না দিয়ে টালবাহানা করে। এ সময় চার লাখ টাকা দিয়ে বায়না করা স্ট্যাম্প জোর করে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। আমি স্ট্যাম্প রক্ষা করতে গেলে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে অভিযুক্ত লাইছুদ্দিনের নাক থেকে সামান্য রক্ত বের হয়। পরবর্তীতে তিনি উপস্থিত জনতাকে উসকানিমূলক কথা বলে খেপিয়ে তোলেন। এরপর কয়েকজন আমার শরীরের সরকারি পোশাক ধরে টানাহেঁচড়া করে মারধর শুরু করেন।
এ সময় আমার সঙ্গে থাকা পুলিশ সদস্যরা থানায় অবহিত করলে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে আমাকে উদ্ধার করে।”
এ ঘটনায় পরবর্তীতে এএসআই মো. শাহিনুর আটজনের নামে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার আসামিদের ধরতেই শনিবার রাতে ফরিদপুর গ্রামে অভিযান চালায় পুলিশ।