ফুলবাড়ী(কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি ঃ ০৭.১০.২১
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলায় বাল্যবিয়ে বন্ধ করে দেয়ায় চাঞ্চল্যকর সৃষ্টি করেছেন এক শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় ওই দুঃসাহসী শিক্ষার্থীকে বৃহস্পতিবার সংবর্ধনা দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন । শিক্ষার্থীর নাম মোনালিসা আক্তার । সে উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের বড়লই বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী।
ওই শিক্ষার্থী জানান, গত ২২ সেপ্টেম্বর স্কুল থেকে বাড়ীতে গিয়ে দুইজন অতিথিকে দেখেন । পরিচয় জানা নেই। বুঝতে পারেনি তার বিয়ের জন্য বর পক্ষের লোকজন পাঠিয়েছেন । তার মতামত না নিয়ে গোপনে বিয়ে চুক্তি করে ফেলেছে । বিষয়টি নিয়ে বাবা-মা আমাকে কৌশলে বলেন আমরা দিনমজুর মান্ষু। ভাল বর পাওয়া যায় না।
তবে এবার বর পাওয়া গেছে । তুমি বিয়েতে রাজি হও। তখন বাবা -মাকে ছাফ জানিয়ে দেই এখন বিয়ে নয়। আমি পড়াশুনা করে নিজে প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে করবো না। তার পরেও পরিবারের চাপ। পরে সে বাল্য বিয়ের হাত থেকে কি ভাবে রক্ষা পাওয়া তা নিয়ে চিন্তা করি। পরে আমার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা হয়। তিনি আমার বাবা মাকে বাল্য বিয়ের কু-ফল বুঝিয়ে দেওয়ায় পরবর্তিতে বিয়ে ভেঙ্গে যায়। বর পক্ষ আর আসেনি।
ফুলবাড়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের হলরুমে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপজেলা নিবার্হী অফিসার সুমন দাসের সভাপতিত্বে এ সময় বক্তব্য রাখেন ,উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম রব্বানী সরকার, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আতাউর রহমান শেখ, উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তা আব্দুল হাই, উপজেলা সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মজিবর রহমান, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সোহেলি আক্তার, ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ রাজিব কুমার রায়, মোনালিসার মা মুক্তা বেগম, প্রধান শিক্ষক আনিচুর রহমান আনছারী (আংগুর) প্রমূখ। তবে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ওই শিক্ষার্থীকে লেখাপড়া করার জন্য প্রতিমাসে এক হাজার টাকা দেয়ার প্রতিশ্রæতি দেন উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম রব্বানী সরকার।