মোঃ আজগর আলী খান রাজস্থলী (রাঙ্গামাটি):- রাঙ্গামাটি জেলার বিলাইছড়ি উপজেলার একমাত্র দুর্গম পার্বত্য অঞ্চল ফারুয়া ইউনিয়নের জনগণ এখনো মোবাইল নেটওয়ার্ক ও নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত পশ্চাৎপথ ফারুয়া ইউনিয়নের জনগণ সকল ক্ষেত্রে এখনো পিছিয়ে রয়েছেন। তারাও স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক, তাদের কি নেই নাগরিক অধিকার? মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনার সুদক্ষতার নেতৃত্বে দেশের জনগণ ডিজিটাল সুবিধা পাচ্ছে।
কিন্তু ভাগ্যর নির্মম পরিহাস পার্বত্য এলাকার মধ্যে রাঙ্গামাটি জেলার বিলাইছড়ি উপজেলার ফারুয়া ইউনিয়নের জনগণ ডিজিটাল সেবা কি তারা এখনো জানেনা! বর্তমানে সমস্তকিছু ডিজিটাল আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে, নাগরিক সেবা অনলাইনের মাধ্যমে দেওয়া হচ্ছে। যাহাতে প্রত্যেক নাগরিকগণ ঘরে বসে সেবা পায়।
কিন্তু এ হতভাগা ইউনিয়নের জনগণ এসব সুযোগ
সুবিধা থেকে এখনো বঞ্চিত। সরকারের উচিত অচিরেই এ পার্বত্য অঞ্চলের দুর্গম ফারুয়া ইউনিয়ন কে মোবাইল নেটওয়ার্কের অাওতায় অানা ।
বাস্তব চিত্রে দেখা যায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার জন্য দুর্গম ফারুয়া ইউনিয়নের ওয়ার্ড গুলোতে জীবনের ঝুকি নিয়ে রাস্তাবিহীন মোটর বাইকে যেতে হয়েছে গ্রামে গ্রামে জনপ্রতিনিধিদের । যেকোন মূহূর্তে বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে এমন আশংকা ছিল সবসময় সকলের মধ্যে । তবুও কখনো ক্লান্ত হয়নি জনপ্রতিনিধি। যখন তাদের মাঝে এসব মানবিক সহায়তা তুলে দিলে এক প্রাণবন্তর হাসি ফুটে উঠে সকলের মাঝে। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে এলাকাবাসী মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে।
বিলাইছড়ি উপজেলার ফারুয়া থেকে যোগাযোগের পথ বর্তমানে পাশ্বর্বতী উপজেলা রাজস্থলীর সাথে সুব্যবস্থা করতে সীমান্ত সড়ক নির্মিত হলে অর্থনৈতিক পথ সুগম হবে। জীবনযাত্রার মান উন্নতী হলে পরিবর্তন ঘটবে সমাজ ব্যবস্থা ও এলাকার উন্নয়ন। সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান বিদ্যালা্ল তনচংগ্যা টেলিফোনে এ প্রতিনিধি কে জানান, ফারুয়া ইউনিয়ন টি অতি দূর্গম হওয়াতে অন্যান্য ইউনিয়ন থেকে উন্নয়নে পিছিয়ে আছে, মোবাইল নেটওয়াক না থাকার কারণে সহযে যোগাযোগ করা যায়না,তাই একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে ফারুয়া ইউনিয়নের সেবাদানের লক্ষ্যে সরকার যাহাতে মোবাইল নেটওয়ার্ক টাওয়ার স্থাপন করে দেয় সেজন্য ইউপি চেয়ারম্যান হয়ে ইউনিয়নবাসীর পক্ষ থেকে জোড়দাবী জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে সাবেক পার্বত্য বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার এমপি বলেন, বি এন পির অামলে তিন পার্বত্য জেলায় সীমাবদ্ধতার মধ্যে মোবাইল নেট চালু ছিল। অাওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় অাসার পর পার্বত্য অঞ্চলের অানাচে কানাচে নেট চালু করে জনগনের নাগরিক সুবিধা তরান্বিত করে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কিছু কিছু এলাকায় অাঞ্চলিক সংগটনের চাঁদাবাজীর কারনে মোবাইল নেট স্থাপন প্রতিবন্ধগতা সৃষ্টি হয়।ফলে পার্বত্য এলাকায়অবৈধ অস্ত্রধারীর কারনে অাজ উন্নয়নে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।