কে এম রাজীবঃ মান্ধাতার আমলে পুলিশিং কার্যক্রমকে দূরে ঠেলে উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে আধুনিকায়নের পথে হাটছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)। আইন শৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি বন্দর নগরীর থানাগুলো একে একে রূপান্তরিত হচ্ছে সেবার কেন্দ্র হিসেবে। ঠিক তেমনি অপরাধ নিয়ন্ত্রণেও নেয়া হচ্ছে নিত্য নতুন উদ্যোগ।
জানা যায়, সেবার মানে আধুনিকায়নে সিএমপি’র ডিজিটালাইজেশনের মাইলফলক বন্ধন অ্যাপ নামের একটি অ্যাপ চালু করছেন।যে অ্যাপটি থানায় আগত সেবাপ্রার্থীদের ভোগান্তি নিরসন হবে, এবং এ আধুনিক পুলিশিং এর যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ ( সিএমপি) কমিশনার। এতে থানায় জিডি কিংবা মামলা করে এখন আর থানায় থানায় কিংবা তদন্ত কর্মকর্তার পেছনে ঘুরতে হয় না। মামলা এবং জিডির সর্বশেষ তথ্য এই অ্যাপেই চলে আসে। আর সিএমপি কমিশনার নিজেই এটি তদারকি করেন। কোনো মামলা বা জিডির ক্ষেত্রে দীর্ঘসূত্রতা হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা হয়।
আরও রয়েছে “হ্যান্ডস ফ্রি পুলিশিং” কার্যক্রম। যে কার্যক্রমটি চালু করেছেন বাংলাদেশ পুলিশের আইজিপি। এ ‘হ্যান্ডস ফ্রি পুলিশিং’ কার্যক্রমের সেই অপারেশনাল গিয়ার মাঠ পর্যায়ে সফল বাস্তবায়ন করেছেন সিএমপি কমিশনার। সেই সাথে চট্টগ্রামেই সর্বপ্রথম যুক্ত হয়েছে সর্বাধুনিক পেট্রল কার। কোনো ঘটনা ঘটলেই শাঁ শাঁ সাইরেন বাজিয়ে ছুটে যায় এসব পেট্রল কার।
এছাড়া নিউইয়র্ক পুলিশের আদলেই অফিসারদের দেয়া হচ্ছে ‘বডি অন’ ক্যামেরা। উন্নত বিশ্বে যেভাবে পুলিশ কর্মকর্তাদের শরীরে ক্যামেরা সংযুক্ত থাকে, সিএমপিতেও শুরু হচ্ছে সে যুগ। এজন্য ইতোমধ্যে প্রতিটি থানায় ১০টি করে ক্যামেরা দেয়া হয়েছে। প্রশিক্ষণও দেয়া হয়েছে কর্মকর্তাদের। শিগগিরই মাঠ পর্যায়ে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হবে বলে জানা যায়। সেই সাথে রয়েছে পুরো চট্টগ্রাম নিয়ন্ত্রণ করা একটি ” সেন্ট্রাল কন্ট্রোল রুম” যা এখন থেকে পুরো চট্টগ্রাম শহরকে নিয়ন্ত্রণ করা হবে এক কক্ষ থেকে।
এ লক্ষ্যে চট্টগ্রামের গুরুত্বপূর্ণ ৮শটি স্থানে ক্যামেরা স্থাপন করা হচ্ছে। ইতোমধ্যেই ৪শ ক্যামেরা স্থাপন করার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। পরীক্ষামূলকভাবে সেগুলো দিয়েই বর্তমানে নজরদারি করা হচ্ছে। বাকিগুলো স্থাপনের পর আনুষ্ঠানিকভাবে এই সেন্ট্রাল কন্ট্রোল রুম উদ্বোধন করা হবে। এসব ক্যামেরা পুলিশের চোখ হয়েই চট্টগ্রামবাসীকে নিরাপত্তায় সহায়তা দেবে বলে জানা যায়।