মোঃ রুবেল মিয়া,ব্যুরো চিফ ময়মনসিংহঃ
জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় ব্রহ্মপুত্র নদে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে।এতে চরপুটিমারি ইউপি অবস্থিত ৪নংচর হাইস্কুল এন্ড কলেজ হুমকির মুখে, এছাড়াও হুকমিতে রয়েছে ৪নংচর সঃপ্রাঃ বিদ্যালয়,৪নংচর বাজার ও মাদ্রাসা, মসজিদ সহ কয়েকশত বসতবাড়ি । এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছে কয়েকশ পরিবার। ভাঙনে গৃহহীন ও ভূমিহীন হয়ে পড়েছেন অনেকেই। ব্রহ্মপুত্র ভাঙন কবলিতরা জানান, প্রতি বছরই পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভাঙন শুরু হয়। ইতিপূর্বে কয়েক শতাধিক পরিবারের বসতবাড়ি ও কয়েকশ একর ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। অনেকেই ঘরবাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন। এবার যেভাবে ভাঙন শুরু হয়েছে- তাতে বিস্তীর্ণ এলাকা নদের গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। এর আগের বন্যায়, ৪নংচর নতুনপাড়া,পশ্চিম পাড়া সহ গোয়ালেরচর ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর, বালুরচর, গাইবান্ধা ইউনিয়নের চন্দনপুর, চরগোয়ালিনী ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর ও হরিণধারা দশানী নদীর ভাঙ্গন সহ বিভিন্ন এলাকায় ভাঙনের ফলে নদের গর্ভে বিলীন হয় বসতভিটা ও হাজার একর ফসলি জমি।
৪নংচর এলাকার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে কয়েক দফা বসতবাড়ি নদের গর্ভে বিলীন হয়েছে। এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছে আমাদের গ্রামের মানুষ, এই ব্রহ্মপুত্র আর কতবার যে ঘরবাড়ি সরাতে হবে তা আল্লাহ ছাড়া অন্য কেউ জানেনা। ৪নংচর হাইস্কুল এন্ড কলেজের অদক্ষ আব্দুল হাকিম বলেন, গত বছর বন্যায় নদের র্তীব্র ভাঙ্গন দেখা গেলে স্থানীয় সাংসদ ধর্মপ্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব ফরিদুল হক খান (দুলাল) এমপি মহোদয়ের নজরে এলে নদী ভাঙ্গন রোধে জি.ও ব্যাগ দিয়ে ভাঙ্গন প্রতিরোধ করার ব্যবস্থা করেন। কিন্তু এবছর আগাম পাহাড়ি ঢলে নদী আবারও ভাঙ্গন শুরু করেছে, ভাঙ্গনে জি.ও ব্যাগ সহ নদের গর্ভে যাচ্ছে। যায় ফলে আমাদের স্কুল সহ আশে-পাশের স্কুল,মাদ্রাসা,মসজিদ,ক্লিনিক, বাজার সহ বসতবাড়ি হুমকির মুখে আমরা নদী ভাঙ্গন রোধে সরকারের কাছে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য দাবি জানাই।চরপুটিমারি ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শামছুজ্জামান (সুরুজ) মাষ্টার বলেন, নদের ভাঙনরোধে আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করছি। ভাঙ্গনের বিষয়টি আমি উপর মহলে জানাবো, আশা করি, শিগগিরই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।