স্টাফ রিপোর্টারঃরাজউক কর্মচারী কমার্শিয়াল কমপ্লেক্স, একটি ঐতিহ্যবাহী, শত সহস্র রাজউক কর্মচারীদের সংগঠন রাজউক কর্মচারী বহুমখী সমবায় সমিতি লি: এর একটি সহযোগী বাণিজ্যিক ভবন। রাজউক কর্মচারীদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ১৯৭২ সালে এর যাত্রা শুরু যার নিবন্ধন নম্বর ২১৪২। যা প্রতি তিন বছর পর পর নির্বাচিত কমিটির মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে আসছে।
যেহেতু রাজউক কর্মচারী কমার্শিয়াল কমপ্লেক্স রাজউক কর্মচারী বহুমুখী সমবায় সমিতি লি: এর একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান, এবং এটি সমিতির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে দেখভাল করা হয়, তাই মার্কেট পরিচালনার স্বার্থে সমিতি লোকাল অফিসের সাথে মার্কেট এর নেত্রী স্থানীয় কিছু সদস্যদের সমন্বয়ে রাজউক কর্মচারী কমার্শিয়াল কমপ্লেক্স পজিশন মালিক ও ব্যবসায়ী উন্নয়ন কমিটি নামক একটি সিলেক্টেড কমিটির মাধ্যমে এটি পরিচালনা করে আসছে মার্কেট টি চালু হওয়ার পর থেকেই।
কিন্তু সম্প্রতি, মার্কেট এর চিহ্নিত দখলবাজ, সন্ত্রাসী ও সাবেক সেক্রেটারী মাজেদ খান নতুন কমিটি আসার পর পরই তাকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে নতুন একটি কমিটির কাছে, রাজউক সমিতি মার্কেট পরিচালনার দায়িত্ব ন্যস্ত করে। নতুন পরিচালনা কমিটি দায়িত্বভার গ্রহণের মাত্র ১মাসের মাথায় মাজেদ খান এবং তার সহযোগীদের ব্যাপক দুর্নীতি সমিতির চোখে ধরা পরে। যেখানে দেখা যায় মাজেদ খান গত ৮বছরে মার্কেট টি থেকে প্রায় ১০০কোটি টাকার ও বেশি লোপাট করেছে। এবং প্রায় ৪১টি দোকান কক্ষ নিজ হেফাজতে অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে।
এমতবস্থায় দায়িত্বপ্রাপ্ত নতুন কমিটি লুন্ঠিত অর্থ আদায় এবং দখলকৃত সম্পত্তি উদ্ধার এ সচেষ্ট হলে, মাজেদ খান স্থানীয় প্রভাবশালী মহল এর সাথে যোগসাজশে ঢাকা মহানগর দোকান মালিক সমিতি (উত্তরা জোন) নামক একটি অনির্বাচিত কমিটির মাধ্যমে রাজউক মার্কেট এর অনুমোদিত রাজউক কর্মচারী কমার্শিয়াল কমপ্লেক্স পজিশন মালিক ও ব্যবসায়ী উন্নয়ন কমিটি কে পাশ কাটিয়ে, নিজেরা অসৎ উদ্দেশ্যে রাজউক কমার্শিয়াল ব্যবসায়ী উন্নয়ন কমিটি নামক আরেকটি কমিটি গঠন করে এক পাতানো নির্বাচন এর আয়োজন করে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে অনুমোদিত কমিটি মহানগর দায়রা ১ম যুগ্ন জেলা জজ আদালতে মামলা করলে, রকোর্টের সেই আদেশ অমান্য করে জোর পূর্বক হাস্যকর একটি নির্বাচন এর আয়োজন করে, যার বিষয়ে মার্কেট মালিক রাজউক কর্মচারী বহুমুখী সমবায় সমিতি লি: অবগত ই নয়।