সাতক্ষীরা থেকে আব্দুর রহিম:ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ মোকাবেলায় উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরার সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
ইতিমধ্যে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল জানান, আশঙ্কা করা হচ্ছে সাতক্ষীরা খুলনা উপকূলীয় আঘাত আনতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’।জেলার ১৪৫টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র ও ১৫শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এছাড়া ও ১৮৩ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য ও দুই কোটি ১৫ লাখ টাকা নগদ অর্থ মজুদ রয়েছে।
পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ওয়াটার টাঙ্কি প্রস্তুত রয়েছে।
তিনি আরো জানান,
সুন্দরবনের উপকূলীয় জনপদ শ্যামনগর ও আশাশুনিতে ৪৮৮০ জন স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এছাড়াও পুলিশ,
আনসার, বিজিবি,ফায়ার সার্ভিস ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মী প্রস্তুত রয়েছে।
এদিকে মঙ্গলবার সকাল থেকে সাতক্ষীরার আকাশে ব্যাপকভাবে মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে।
২৫ শে মে মঙ্গলবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা অবধি গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে এখনো চলমান রয়েছে।
উপকূলীয় উপজেলা শ্যামনগর ও আশাশুনির পানি উন্নয়ন বোর্ডের ভেড়ি বাঁধ রয়েছে চরম ঝুঁকির মধ্যে।
ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের ক্ষত কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই আবারো ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ নিয়ে উপকূলীয় এলাকার লক্ষ্য লক্ষ্য মানুষের মধ্যে যেন এক অজানা আতঙ্ক বিরাজ করছে।
সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী রিপন এ প্রতিনিধিকে জানান,
এটি যেকোন সময় সুন্দরবন উপকূলীয় এলাকায় আঘাত আনতে পারে। তিনি আরো জানান,
উপকূলীয় এলাকায় বর্তমানে ২ নম্বর সতর্ক সংকেত চলছে।মঙ্গলবার ২৫ শে মে বিকালে ইয়াস সম্পর্কিত ১২ নম্বর বিশেষ বুলেটিনে এসব তথ্য জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এতে বলা হয়েছে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস আরো ঘনীভূত হয়ে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বুধবার ২৬ শে মে দুপুর নাগাদ উত্তর উড়িষ্যা-পশ্চিমবঙ্গ উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় ইয়াস অতিক্রমের সময় খুলনা,সাতক্ষীরা,বাগেরহাট, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, নোয়াখালী,লক্ষীপুর,চাঁদপুর, চট্টগ্রাম এবং তাদের উপকূলীয় জেলাগুলোতে আঘাত হানার সম্ভাবনা রয়েছে।
পূর্ণিমার প্রভাবে সাতক্ষীরা সহ বেশ কয়েকটি জেলায় নিম্ন অঞ্চল জোয়ারে প্লাবিত হতে পারে।
আজ বিকাল পৌনে ৪ টার দিকে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছেন ঘূর্ণিঝড় ইয়াস উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে একই এলাকায় অবস্থান করছে।
এদিকে সাতক্ষীরার উপকূলীয় অঞ্চল শ্যামনগরের বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন, পদ্মপুকুর ইউনিয়ন, গাবুরা ইউনিয়ন, মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়ন এবং আশাশুনি উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে, নদীর পানি ছাপিয়ে প্লাবিত হচ্ছে।
এ জনপদের মানুষেরা রয়েছে চরম আতঙ্কে মধ্যে।