(পর্ব-১)
কে এম রাজীব : চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার ১ নং করেরহাট ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের অতিদরিদ্র জনগোষ্ঠির জন্য বছরে ৪০ দিনের কর্মসূচির আওতায় বিভিন্ন পর্যায়ের ৪০ জন মৃত ও জীবিত মিলে শ্রমজীবি নারী পুরুষ শ্রমিকের প্রতিজন ৪’শ টাকা হারে ৫ বছরে প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা আত্মসাত করার অভিযোগ উঠেছে মিরেসরাইয়ের করেরহাট ১ নং ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান এনায়েত হোসেন নয়ন ও সচিব আজম উদ্দিনের বিরুদ্ধে। টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গত ২৬ মে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ে ভুক্তভোগীদের পক্ষে আরিফুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি লিখিত অভিযোগ প্রদান করেছেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রনালয়েল নির্দেশে তদন্তে নেমেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসন থেকে উক্ত অভিযোগ তদন্তের নির্দেশনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে
০৫.৪২.১৫০০.৭০১.০২.০০৭. ২১.২৮৯ নং
স্মারকে একটি চিঠিও পৌঁছেছে বলে জানা গেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত অতিদরিদ্র জনগোষ্ঠির ৪০ দিনের কর্মসূচির আওতায় বিভিন্ন পর্যায়ের ৪’শ শ্রমিকের ৪’শ টাকা হারে ৫ বছরে প্রায় সাড়ে সাড়ে তিন কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। এসব অর্থ স্বাক্ষর জাল করার শ্রমিকরা কেউ প্রবাসী, কেউ মহিলা মেম্বার, কেউ প্রতিবন্ধি, কেউ গ্রাম পুলিশ এবং কেউবা ক্ষুধে ব্যবসায়ী পর্যায়ের ব্যক্তি। এসব শ্রমিকদের টাকা জাল স্বাক্ষরে উত্তলন করায় করেরহাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এনায়েত হোসেন নয়ন ও সচিব আজম উদ্দিনের বিরুদ্ধে গত ২৬ মে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ে একখানা লিখিত অভিযোগ প্রদান করা হয়। উক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারি কমিশনার, স্থানীয় সরকার শাখা, চট্টগ্রাম নুরজাহান সাথী এর স্বাক্ষরিত এক চিঠি ০৫.৪২.১৫০০.৭০১.০২.০০৭. ২১.২৮৯ নং স্মারকে হতদরিদ্রদের জন্য বরাদ্ধকৃত অর্থ চেয়ারম্যান ও সচিবের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সরেজমিনে তদন্তের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে প্রেরণ করা হয়েছে।
এবিষয়ে জানতে চেয়ে চেয়ারম্যান এনায়েত হোসেন নয়নের মুঠো ফোনে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তার সংযোগ না পাওয়ায় সচিব আজম উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি ওসবের মধ্যে নাই। আমি সরকারি কর্মচারি অফিসে আসি কাজ শেষে বাসায় চলে যায়। দীর্ঘ বছর কাজ করার সুবাদে মানুষের সেবা করি বলে হয়তো দূর্নাম বেশি। তবে এবিষয়ে আমার সাথে ইউএনও স্যারে সাথে কথা হয়েছে এবং উনি যা জানার আমার যা বলার আমি ইউএনও স্যারকে বলেছি। ইউএনও স্যারের অফিসে আমাদের সচিবদের একটা অনুষ্ঠানেও এবিষয়ে কথা হয়েছে এবং আমাদের কি ভাবে কি কাজ করতে হবে সে বিষয়ে ব্রিফিংও দিয়েছেন তিনি। চেয়ারম্যানের মুঠো ফোন বন্ধ কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, চেয়ারম্যান সাহেব দেশের বাইরে যাওয়া কথা রয়েছে হয়তো সে কারণে ফোন বন্ধ থাকতে পারে বলে জানান সচিব আজম উদ্দিন।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিনহাজুর রহমান বলেন, আমরা জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কার্যালয় হতে প্রেরিত চিঠি আমাদের কার্যালয়ে পৌঁছেছে এবং তদন্ত শুরু করেছি। উল্লেখিত বিষয়ে অভিযোগ তদন্ত করা হলেই জানা যাবে প্রকৃত সত্য।
কেএমরা/