সবুজ এইচ সরকার, সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ বঙ্গবন্ধু সেতুর যানবাহনের চাপ কমাতে ও যমুনা সেতুতে ট্রেন চলাচল ঝুঁকিপুর্ন হওয়ায় দ্রুত গতিতেই কাজ চলছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলসেতু। বঙ্গবন্ধু সেতুর উত্তর দিকের ৩ শ মিটার উজানে দ্রুত গতিতে নির্মাণ কাজ চলছে। ডুয়েল গেজ ডাবল ট্রাকের সেতুটির মোট ৫০ টি পিলারের উপর গড়ে উঠবে ৪.৮ কিলোমিটার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবু রেল সেতু। এর মধ্যে ১৯ টি পিলারের পাইলিং কাজ শেষ হয়েছে। ২০২০ সালে ২৯ নভেম্বর ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি টাকার বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০২১ সালে মার্চ মাসে শুরু হয়েছে পিলারের পাইলিং কাজ। দেশের অন্যতম মেঘা প্রকল্প এই রেল সেতুটি। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছেন জাইকা। দেশি-বিদেশি প্রকৌশলীদের তত্ত্বাবধানে দিন-রাত অক্লান্ত পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে দ্রতগামী কাজ হচ্ছে বঙ্গবন্ধু রেলসেতু। এছাড়াও দৃশ্যমান হয়েছে রেল সেতুর পিয়ার হেড। ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে বঙ্গবন্ধু রেলসেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হবে। বর্তমান বঙ্গবন্ধু সেতুর উপর দিয়ে রেল চলাচল করে মোট ৩৮ টি এবং রেল সেতুটি চালু হলে ৬৮ টি মালবাহীসহ যাত্রীবাহী রেল চলাচল করবে।
স্থানীয়রা জানান , রেলসেতু বাস্তবায়িত হলে আমদানি রপ্তানি খরচ কমে যাওয়াসহ বঙ্গবন্ধু সেতু ও মহাসড়কের ওপর চাপ কমবে। ঝুঁকিও হ্রাস পাবে বঙ্গবন্ধু সেতুর। ট্রেন চলাচল করার পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ট্রেন চলাচলের আন্তঃসংযোগ সৃষ্টি হবে।
প্রকল্প পরিচালক মাসুদ রানা বলেন, ৪০% কাজ শেষ হয়েছে। পুর্বপ্রান্তের ৪৮ নাম্বার পিলার স্থাপনের কাজ সম্পুর্ন করেছি।এরপর ৪৬,৪৭ও ৪৯ নাম্বার পিয়ার হেড কনস্ট্রাকশন শুরু হবে এবং ২ টি সুপার স্ট্রাকচারের কাজ চলে এসেছে। সুপার স্ট্রাকচারের কাজ শেষ হলে জুলাই মাসের দিকে সুপার স্ট্রাকচারের ইনস্টলেশন এর কাজ শুরু করা হবে।
এছাড়াও সিরাজগঞ্জ-বগুড়া রেললাইন স্থাপনের সম্ভাব্য স্থান পরিদর্শনে এসে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন জানান, প্রকল্পের নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই রেল সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ করা হবে। সেই লক্ষ্য নিয়েই সেতুর দুই প্রান্তে দুটি প্যাকেজে কাজ চলছে।