নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রাম নগরীর সাংবাদিক, কবি ও সংস্কৃতি কর্মীদের আড্ডাস্থল মোমিন রোডস্থ চেরাগীর আজাদী গলি সবারই মিলন মেলার প্রিয় স্থান। আবার এ স্থানে আবার হঠাৎ চোখে পড়ে কিশোর গ্যাংয়ের মারামারির ঘটনা। মারামারি থেকে আবার খুনের ঘটনাও ঘটে যায়। তেমনি গত ২২ এপ্রিল রাতে মারামারি ঘটনায় আসকার বিন তারেক প্রকাশ ইভান নামের এক ছাত্র ছুরিকাঘাতে খুন হওয়ার দেড় মাস না যেতেই আবারও দুই গ্রুপের মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে যুবলীগের নিশান নামের এক কর্মী সহ চারজন আহত হয়েছে বলে জানা যায়। শনিবার (৪ জুন) দুপুর ১২ টায় ২১ নং জামালখান ওয়ার্ডের চেরাগীর আজাদী গলির লুসাই ভবনের সামনে দুই পক্ষের মধ্য এ মারামারি ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে নগর যুবলীগের সমাবেশে মিছিল নিয়ে সমাবেশে যোগ দেয় যুবলীগের দুই গ্রুপ। সমাবেশ শেষে নিশান গ্রুপ চেরাগীর আজাদী গলির লুসাই ভবন এলাকায় অবস্থান করছিলো। এসময় আরেক গ্রুপ সমাবেশ শেষে মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় হঠাৎ বিক্ষিপ্ত হয়ে একটি গ্রুপ বেশকিছু ছেলে নিয়ে যাদের মধ্য কয়েকজনের হাতে বাঁশের লাঠি ও কাঠের লাঠি নিয়ে চেরাগী পাহাড় লুসাই ভবনের গলিতে প্রবেশ করে সুজয়মান বড়ুয়া জিতুর নেতৃত্বে অন্তত ত্রিশজন মিলে দাঁড়িয়ে থাকা ওপর গ্রুপের বেশ কয়েকজনবের উপর হামলা চালিয়ে মারধর শুরু করলে এসময় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি গোলাম রসূল নিশান সহ বেশ কয়েকজন রক্তাক্ত হয়েছে বলে জানা যায়।
মারামারি ঘটনায় আহত হওয়ার বিষয় জানতে যোগাযোগ করা হলে গোলাম রসূল নিশান বলেন, আমরা আন্দরকিল্লা থেকে মিছিল নিয়ে প্রেসক্লাবের সমাবেশ শেষ করে চেরাগীতে সবাই মিলে মোবাইলে ছবি তুলছিলাম। এমন সময় সমাবেশ শেষে সাইফুল ইসলাম লিমন গ্রুপের খালেদ হোসাইন অন্তর, ফয়সাল রাজ, মিথাক বড়ুয়া চয়ন, মুনতাসীর চৌধুরী মহিয়ান, আসিফুর রহমান সায়েম, সৈয়দ মোঃ সাদেক শাহরিয়ার সহ অজ্ঞাত আর ২০/২৫ জন আমাকে হত্যার উদ্দেশে আমার উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় আমার কর্মীরা আমাকে রক্ষা করার চেষ্টা করলে হামলাকারীদের আঘাতে মোঃ সোহেল, মোঃ রাসেল ও ফয়জুল আকবর সহ আমরা চারজন গুরুতর ভাবে আহত হই।বর্তমানে
তারা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানান নিশান। পূর্বশত্রুতার জের ধরেই দুপক্ষের মধ্যে মারামারির কিনা জানতে চাইলে নিশান বলেন, না ভাইয়া আমাদের সাথে তাদের পূর্বের কোনো শত্রুতা নাই। হয়তো আমি নগর যুবলীগের কোনো পদে আসবো তাই হয়তো এই ভেবে আমাকে হত্যার উদ্দেশে এই হামলা। আমাদের রাজনৈতিক একটা পরিচয় আছে, আমার মা, আমার ভাই আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িত, আমিও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি ছিলাম। আমাদের রাজনীতির একটি ক্যারিয়ার আছে এবং আমরা সবাই আকবরশাহ এলাকায় বসবাস করি। তাদের সাথে আমাদের কোনো দন্দ্ব থাকতে পারেনা।
ঘটনার বিষয়ে কোতোয়ালি থানাধীন জামালখান পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বরত অফিসার বলেন, প্রেস ক্লাবে যুবলীগের বিক্ষোভ সভা শেষ করে একটি মিছিল যাচ্ছিল। এসময় মিছিল থেকে কিছু ছেলে বিক্ষিপ্ত হয়ে চেরাগী পাহাড় এলাকায় মারামারির সাথে জড়িয়ে পড়ে। এসময় ঘটনাস্থলে পুলিশের উপস্থিতিতে তারা পালিয়ে যায়। বিষয়টি আমাদের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছি এবং স্যারেরা ওই এলাকার সিসি টিভির ফুটেজ সংগ্রহ করেছে পরর্বতীতে আইনগত ব্যবস্থা নেবে বলে জানান পুলিশ।