ডেস্ক রিপোর্টঃ হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার করগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয়; এক বছর সুবিধাভোগীদের ভাতার কার্ড গোপন করে সেই টাকা উত্তোলনের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ছাইম উদ্দিন।
অভিযোগে দোলনা বেগম জানান, করগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ভাতার কার্ড দেওয়ার কথা বলে গত এক বছর ধরে ভাতার কার্ড নিজের কাছে রেখে গোপনে টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করে আসছেন তিনি। আমি ভাতার কার্ড চাইলে চেয়ারম্যান সাহেব খুঁজে পাচ্ছি না বলে বারবার ফিরিয়ে দিয়েছেন কিছুদিন আগে আমার কাছে ভাতা কার্ড দেন তারপর আমি ২২৫০ টাকা উত্তোলন করি। আমার আশেপাশে মানুষকে ভাতা কার্ড দেখালে দেখা যায় ১৭৪০০ টাকা উত্তোলন করা হয়েছে তাই আমি নিরুপায় হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ করি ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মহি উদ্দিন জানান, বর্তমানে করোনাভাইরাস মোকাবিলা এবং মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে ব্যস্ত আছেন। এরপরও বিষয়টি তদন্ত জন্য সমাজসেবা অফিসে হস্তান্তর করা হয়েছে।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি চেয়ারম্যান ছাইম উদ্দিন বলেন, এসব আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। ভাতর কার্ড বিতরণের দায়িত্বে সমাজসেবা অফিসার এবং অর্থ দিয়ে থাকে ব্যাংক এতে আমার কোন হাত নেই। ইউনিয়ন পরিষদে আমি প্রতিবন্ধী ভাতা কার্ড দেখতে পাই তারপর দোলনা বেগমের কাছে দেই ভাতা কার্ডটি ।
এ ব্যাপারে উপজেলা সমাজসেবা অফিসার সুয়েব চৌধুরী সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি এ ব্যাপারে কিছু জানিনা আমার পূর্বের অফিসার বারিন্দ চন্দ্র রায় ছিলেন তিনি এই বিষয়ে সাথে জড়িত। আমি শুনছি এই বিষয় আফস করা হয়েছে।