মহানবী (স:) এর বিরুদ্ধে অবমাননাকর বক্তব্য দেওয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধনে অংশ নেয়ায় চট্টগ্রামের ভেটেরিনারি এন্ড এ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের চার শিক্ষার্থীকে ছাত্রলীগ কর্তৃক নির্যাতন ও সেমিস্টার পরিক্ষা চলাকালীন হল থেকে বহিষ্কারের প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগর শাখা। শনিবার (১৮জুন) বিকালে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এনিম্যাল সাইন্সস বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি মুহাম্মাদ তানভীর হোসাইনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান রবিনের সঞ্চালনায় উক্ত মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগর সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মাদ ইব্রাহিম খলিল।
মানববন্ধনে ছাত্রনেতারা বলেন, বাংলাদেশের মানুষ ধর্মপরায়ণ ꫰ রাষ্ট্র আমাকে নিজ ধর্ম পালনের অধিকার দিয়েছে ꫰ মহানবী (স:) কে অবমাননার প্রতিবাদ করার কারণে কোন শিক্ষার্থীকে ছাত্রলীগ কর্তৃক নির্যাতনের শিকার হতে হবে, আবার তাদেরই প্ররোচনায় হল প্রশাসনকে ব্যবহার করে নির্যাতিত শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার করা হবে তা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না।মানববন্ধনের মুহাম্মদ তানভীর হোসাইন বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ছাত্রদের উপর অমানবিক আচরণ দেখিয়েছে ꫰ রাসুলের অবমাননার প্রতিবাদ দেখানো কখনোই দোষের নয়। তিনি নির্যাতনকারী ছাত্রলীগ নেতাদের শাস্তি দাবি করেন এবং ছাত্রদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবী জানান।
উল্লেখ্য, শনিবার (১২জুন) মহানবী (সা.) কে এর বিরুদ্ধে অবমাননাকর বক্তব্য রাখার প্রতিবাদে মানববন্ধনে অংশ নেওয়ার জেরে চট্টগ্রামের ভেটেরিনারি এন্ড এ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের চার শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগ নেতা সাব্বির হোসাইনের নেতৃত্বে কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে। পরে মঙ্গলবার (১৪ জুন) এক অফিস নোটিশের মাধ্যমে মারধরের শিকার শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের এম. এ. হান্নান হল থেকে সাময়িব বহিস্কারের আদেশ দেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অভিযোগ এসব শিক্ষার্থী সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারী ও প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তি করেছেন। তবে ছাত্রলীগের হাতে প্রহিত ও হল থেকে বহিস্কৃত শিক্ষার্থীদের দাবি, মূলত শনিবার (১২জুন) মহানবী (সা.) কে এর বিরুদ্ধে অবমাননাকর বক্তব্য রাখার প্রতিবাদে মানববন্ধনে অংশ নেওয়ার জেরেই তাদের অন্যায় ভাবে হল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। আর প্রধানমন্ত্রীকে কুটুক্তি করার বিষতটি সত্য নয়। তাদের মোবাইল থেকে ব্যক্তিগত কিছু কথোপকথনের তথ্য থেকে এই দাবি করা হচ্ছে। এদিকে মারধরে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রলীগ নেতা সাব্বির হোসাইন গণমাধ্যমের কাছে বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
তিনি বলেন, ‘ভারতের ঘটনায় ওইসব শিক্ষার্থী প্রতিবাদের নামে বিশৃঙ্খলা করছিলো। এ ঘটনায় আমি তাদের মোবাইল থেকে সংশ্লিষ্ট স্ক্রিনশট গুলো নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে দিয়েছি।’ তবে শিক্ষার্থীদের মারধরের বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর তাসনিম ইমাম বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারী ও প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তি করায় ওই চার শিক্ষর্থীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।’