আমির হোসেন,ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ ঝালকাঠির নলছিটিতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সুজন নলছিটি শাখার সভাপতি সাংবাদিক খলিলুর রহমান মৃধাকে(৪৮) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সোমবার রাত দেড়টার দিকে নলছিটি পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শহিদুল ইসলাম টিটুর দায়ের করা মামলায় তাকে শহরের সবুজবাগ এলাকায় তার ভাড়াবাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে নলছিটি পৌরসভার টেন্ডার সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে মেয়র আবদুল ওয়াহেদ খান,ইঞ্জিনিয়ার ও ৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শহিদুল ইসলাম টিটুকে জড়িয়ে সোমবার সকালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের আইডি থেকে আপত্তিকর মন্তব্য করে স্ট্যাটাস দেন সাংবাদিক খলিলুর রহমান মৃধা।
এ ঘটনায় সোমবার রাতেই কাউন্সিলর শহিদুল ইসলাম টিটু বাদী হয়ে নলছিটি থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেন।
খলিলুর রহমান মৃধা সারদল গ্রামের গ্রামের মোশারেফ মৃধার ছেলে। তিনি সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজনের নলছিটি উপজেলা শাখার সভপতি ও দৈনিক জনতার উপজেলা প্রতিনিধি।
গত পৌর নির্বাচনে ৭ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন খলিল মৃধা।
মামলায় বাদী শহিদুল ইসলাম টিটু মামলায় উল্লেখ করেন, ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ায় মেয়র ও কাউন্সিলরদের সম্মানহানি করা হয়েছে। আসামি বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করে যাচ্ছেন। তিনি পৌরসভার ভালো চান না। এই পোস্ট হাজার হাজার মানুষ দেখেছে। ফলে জনমনেও বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে।
নলছিটি থানার অফিসার ইনচার্জ আলী আহমেদ বলেন, ফেসবুকে আপত্তিকর মন্তব্য করায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। রাতেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। মঙ্গলবার সকালে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এ মামলায় খলিলুর রহমানের মৃধা একমাত্র আসামি।
খলিলুর রহমানের পরিবার জানায়, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা নিয়ে শহিদুল ইসলাম টিটুর সঙ্গে সাংবাদিক খলিলুর রহমান মৃধার বিরোধ চলছিল। এর জের ধরে তাঁর বিরুদ্ধে ‘ষড়যন্ত্রমূলক’ মামলা দায়ের করা হয়েছে।