1. admin@bbcnews24.news : admin :
নান্দাইলে কলেজের অফিস সহকারীর গাফিলতির কারনে অনার্স চান্স পাওয়া শাহনাজের পড়ালেখা অনিশ্চিত - BBC NEWS 24
শনিবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৪:৪০ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
জামালপুর ২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিলেন এস.এম শাহিনুজ্জামান জামালপুর -১ আসনে মনোনয়ন পত্র জমা দিলেন নূুর মোহাম্মদ জামালপুর-২ আসনে জাতীয় পার্টির মনোনীত এমপি প্রার্থীর মতবিনিময় ও মনোনয়নপত্র জমা ইসলামপুর চিনাডুলীতে ৪০দিনের কর্মসূচি প্রকল্পের কাজ চলমান মহিম উদ্দিনের শাহাদাত বার্ষিকীতে পুষ্পমাল্য অর্পন নান্দাইলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে এমপি তুহিনের মনোনয়নপত্র দাখিল ভালুকায় আ’লীগ নেতাকর্মীদের সাথে সতন্ত্র পার্থীর মতবিনিময়  নান্দাইলে নৌকার মনোনীত প্রার্থী আব্দুস সালামকে হাজারো নেতা কর্মী সংবর্ধনা নান্দাইলে মহান বিজয় দিবস পালন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত বকশীগঞ্জে রাজধানী টিভি’র প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত

নান্দাইলে কলেজের অফিস সহকারীর গাফিলতির কারনে অনার্স চান্স পাওয়া শাহনাজের পড়ালেখা অনিশ্চিত

বিবিসি নিউজ ২৪ ডেস্ক
  • সময় : সোমবার, ৬ নভেম্বর, ২০২৩
  • ১০৮ বার পঠিত

নান্দাইল প্রতিনিধিঃ ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার সরকারি শহীদ স্মৃতি আদর্শ কলেজের অফিস সহকারীর (মাস্টারোল) দায়িত্বে অবহেলার কারনে অনার্স ভর্তি প্রত্যাশী এক ছাত্রীর পড়ালেখা প্রায় অনিশ্চিতের মুখে। বর্তমানে সে অনার্সে ভর্তি না হতে পেরে বাড়িতে বসে বসে দিন পাড় করছে। এতে পড়ালেখার প্রতি তার আগ্রহ কমে যাওয়ার পাশাপাশি পরিবারের অবহেলিত সদস্য মনে করছেন নিজেকে।ভুক্তভোগী ছাত্রীর নাম শাহনাজ পারভিন, সে উপজেলার আচারগাঁও ইউনিয়নের সিংদই গ্রামের জালাল উদ্দীনের মেয়ে। শাহনাজ পারভিন ২০২০/২১ শিক্ষাবর্ষে শহীদ স্মৃতি আদর্শ কলেজের বিজ্ঞান বিভাগে পড়ালেখা করে ২০২২ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়। যার রেজিষ্ট্রেশন নাম্বার ১৭১০২৬৪৪৩৬ এবং রোল নাম্বার ২০৭৮২৬। পরবর্তীতে অনার্স এডমিশনের জন্য কিশোরগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজে বোটানি ডিপার্টমেন্টে চান্স পায়। ভর্তির সময় বেশিদিন না থাকায় অনার্স ভর্তির জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র উঠানোর জন্য গত (২৯ মে) শনিবার সকাল ১০টায় কলেজে উপস্থিত হলেও কলেজের অফিস সহকারী আনিসুজ্জামান সাজু কাগজপত্র দিতে নানান তালবাহানা করে সময় ক্ষেপণ করেছে বলে অভিযোগ উক্ত শিক্ষার্থীর। উক্ত দদিনটিই ছিলো শাহনাজের অনার্স ভর্তির শেষ দিন।শাহনাজ পারভিন জানান, আমি আমার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো তাড়াতাড়ি ঘুছিয়ে দিতে বললে অফিস সহকারী সাজু ভাই আমার কথায় কর্নপাত করেননি। বরং নানান কথাবার্তা বলে সময় নষ্ট করছিলো। তিনি আমাকে বলেন, তোমাদের স্যার আমাকে এত কাজের চাপে রাখেন কিন্তু বেতন তো বেশি দেয়না। তাই আমার মত করেই কাজ করবো। এই বলে সে আমার প্রয়োজনকে গুরুত্ব দেয়নি। এর মাঝেও আমাকে দাড়িয়ে রেখে আরো কয়েকজনের কাগজপত্র রেডি করে দিয়েছেন ওনি। এক পর্যায়ে আমি নিরুপায় হয়ে কাঁদতে শুরু করি। পরে কলেজ দপ্তরি আব্দুর রহিম ভাইয়ের সহযোগিতায় আমি আমার কাগজপত্র হাতে পেলেও তখন দুপুর ১টা বেজে যায়। পরে কাগজপত্র নিয়ে নান্দাইল থেকে কিশোরগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজ গিয়ে অফিস টাইম (দুপুর ২টা) ধরা সম্ভব হয়নি। পরের দিন আবার ভর্তি জন্য কলেজে গিয়ে জানতে পারলাম গতকালই ভর্তির শেষদিন ছিলো এবং আজ সময় চলে গেছে, আর ভর্তি সম্ভব নয়। ভর্তি না হতে পেরে আমার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ছিলো সেদিন। কেনো ভাবেই বিষয়টি আমি মেনে নিতে পারছিলাম না।বিষয়টি নিয়ে শাহনাজ পারভিনের বাবা জালাল উদ্দীন বলেন, কলেজের অফিস সহকারীর একটু গাফিলতির কারনে আজ আমার মেয়ের পড়ালেখা প্রায় অনিশ্চিত। যখন মেয়ের সহপাঠীরা বিভিন্ন কলেজে অনার্সে পড়ালেখা করছে, আর সেই সময়ে অনেকের চেয়ে ভালো রেজাল্ট করেও শাহনাজ বাড়িতে একা একা বেকার সময় পাড় করছে। এটা মেনে নিতে আমার পরিবারের কষ্ট হচ্ছে। বর্তমানে আমার মেয়ের পড়ালেখা নিয়ে আমি ভিষণ চিন্তিত।রবিবার (৫ নভেম্বর) কলেজের ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল বাদল চন্দ্র দত্তের অফিস কার্যালয়ে গিয়ে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন এবং তিনি জানান, অফিস সহকারী সাজু কাজের চাপে এমন কর্মকাণ্ড পূর্বেও করেছেন বলে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু শাহনাজ পরবর্তী সময়ে আমার সাথে আর যোগাযোগ করেনাই। তবে কলেজ প্রিন্সিপাল তার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন।অফিস সহকারী আনিসুজ্জামান সাজুর শিক্ষার্থীদের সাথে এমন বাজে ব্যবহারের দায়ে অভিভাবক ও সাবেক শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে তার (মাস্টারোল) নিয়োগ বাতিল করে নতুন কর্মচারী পদায়ন করার দাবি জানিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও সংবাদ

ফেসবুকে আমরা

© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২১ বিবিসি নিউজ ২৪
Theme Customized BY Shakil IT Park