ওমর ফারুক:আজ ১৬ নভেম্বর কয়েকটি অনলাইন পোর্টালে “ভালুকায় অটো চালককে দুই হাত ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে” শিরোনামে একটি সংবাদ আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। সংবাদটি সম্পুর্ন মিথ্যা, বানোয়াট,উদ্দেশ্য প্রনোদিত ও মনগড়া। কারন সংবাটিতে লিখা হয়েছে কাচিনা গ্রামের মোছলেম উদ্দিনের ছেলে সেলিম ও ছোট কাশর গ্রামের আবু জাফরের ছেলে নাঈম সরকার অটো চালককে রড দিয়ে পিটিয়ে দুই হাত ভেঙ্গে দিয়েছে। কিন্তু গত ১৩ নভেম্বর সন্ত্রাসী হামলায় সেলিম গুরতর আহত হয়। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করলে সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে সেখানকার ডাক্তাররা তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকায় প্রেরণ করেন, ঢাকায় জাপান ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালে ৪ ঘন্টার বেশি সময় ICU তে থাকার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য ইবনেসিনা তে পাঠানো হয়,সেলিম এখনও ঢাকার ইবনেসিনা হাসপাতালে মুমূর্ষু অবস্থায় চিকিৎসাধীন। প্রশ্ন হলো ১৩ নভেম্বর থেকে সেলিম মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকায় চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় ১৫ নভেম্বর কি করে অটো চালকের উপর হামলা করলো? হাসপাতালে খোজ নিলেই প্রকৃত সত্য বেরিয়ে আসবে।প্রকৃত সত্য হলো ওই অটো চালক একটি প্রাইভেট কারের এক পাশে অটো আংশিক সংঘর্ষ করলে প্রাইভেট কারটি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। ঘটনায় অটো চালক ভুল শিকার না করে সে কিছুই হয়নি এমন ভাব করে চলে যায়। পরে স্থানীয়রা অটো চালককে পিছনে তারা করে আটক করে ও চর থাপ্পর দেয়। পরে শুনতে পাই ওই অটো চালকের হাত ভেঙ্গে গেছে,তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।ঘটনাটি যাতে অন্য দিকে মোড় নেয় এবং সেলিম ও আমার ছেলে নাঈম সরকারকে ফাসানো যায় এই উদ্দেশ্যই অন্য কেও অটো চালকের উপর হামলা করে থাকতে পারে।সেলিমের উপর যারা হামলা চালায় তারা এই ঘটনার ফায়দা নেওয়ার জন্য এই ধরনের মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে।আমি এখন মিথ্যা, বানোয়াট, মনগড়া ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত সংবাদের তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
নিবেদক
আবু জাফর সরকার
গ্রাম: ছোট কাশর
উপজেলাঃ ভালুকা
জেলাঃ ময়মনসিংহ।