অনলাইন ডেস্কঃ ফেনীতে তানিশা ইসলাম (১২) নামে এক মাদ্রাসা ছাত্রীর গলা কাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের বাড়ির ছাদেই তাকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে এগারোটার দিকে ফেনী শহরতলীর কালিদহ ইউনিয়নের মাইজবাড়িয়া গ্রামে আনোয়ার ড্রাইভার বাড়িতে এঘটনা ঘটে। তবে হত্যাকান্ডের কারন পুরোপুরি না জানলেও প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারনা করছে ধর্ষণের চেষ্টা করলে বাঁধা দেওয়ায় এ ঘটনায় জড়িত সন্ধেহে আটক জেঠাত ভাই নিশানই তানিশাকে হত্যা করেছে।
নিহতের মা ও পুলিশ জানায়, রাত ৯ টা থেকে জেঠাতো ভাই নিশান ও মাদ্রাসা ছাত্রী তানিশাকে খুজেঁ পাওয়া যাচ্ছেনা শুনে বাড়ীর সকলে খোজাখুজিতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে।এসময় তানিশা বাড়ীতে একা ছিলো।একপর্যায় নিশানকে খুজে পাওয়া গেলেও তানিশাকেও ঘরে না পেয়ে ছাদে খুজতে গেলে তার গলা কাটা লাশ দেখতে পায় পরিবার।পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন কালে নিশানের ব্যবহৃত একটি সেন্ডেল তানিশার মরদেহের পাশে দেখতে পায়। জানতে পারে জুতোটি নিশানের ছিলো।পরে পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত সন্ধেহে তানিশার জেঠাতো ভাই নিশানকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
নিহত তানিশা সৌদি প্রবাসী শহীদুল ইসলামের ছোট মেয়ে। সে ফেনী শহরের একটি মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী ছিলো।
এব্যপারে ফেনীর পুলিশ সুপার খোন্দকার নুরুন্নবী জানান,ঘটনার রহস্য উৎঘাটনে পুলিশ,ডিবি, রেব,পিবিআই ও সিআইডি সহ একাধিক দল মাঠে কাজ করছে।