ডেস্ক রিপোর্টঃ বরিশাল সদর উপজেলার ৭ নং চরকাউয়া ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড পূর্ব কর্ণকাঠীতে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে একটি গরুর মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানাযায় গত ৬ (জুন) রবিবার কর্ণকাঠী গ্রামে বহু নামে চালিয়ে যাওয়া মাহ্ফুজুর রহমান সজিব মৃধার ব্রিক্সসে গরুটির মৃত্যু হয়।স্থানীয়রা জানান,সজিব মৃধা ইট ভাটার মালামাল রক্ষা করা এবং তার ভিতরে কোন লোক প্রবেশ করতে না পারে সেই জন্য অসদউপায়ে কারেন্টের তারের সাথে জিয়া তার সংযোগ দিয়া সব কিছুর সাথে বিদ্যুতের লাইন দিয়ে রাখছে।
কোন লোক ভিতরে প্রবেশ করে কিছু স্পর্শ করলেই তাকে খেতে হয় বৈদ্যুতিক সর্ক। ভুক্তভোগী আলতাফ হাওলাদার জানান,দুপুরে ঘাস খাওয়ানোর জন্য ইটভাটার পাশে আমার গরুটি বেধে রাখি। কিন্তু সজিব মৃধা ইটভাটায় কারেন্ট দিয়া রাখছে তা আমি জানিনা।
আমার গরুটি ভাটার পাশে যাওয়ার সাথে সাথে তার দেওয়া কারেন্টে স্পৃষ্ট হয়ে মারা যায়। লোকজনের কাছে শুনে আমি ঘটনা স্থলে গিয়ে আমার গরু তার দেওয়া জিয়া তারের সাথে মৃত পরে থাকতে দেখি। স্থানীয় লোকজন সজিব মৃধাকে খবর দিলে সে এসে বলে লোকজন ডুকে ক্ষতি করে বিধায় আমি এই ব্যবস্থা করছি। তবে আমি কোন জরিমানা দিতে পারবোনা। স্থানীয় সোহরাব হাওলার জানান, এলাকাবাসী প্রতিবাদ করলে সজিব মৃধা বলেন, জীবনে অনেক মামলা খাইছি প্রয়োজনে দুই লাখ খুয়াবো তবুও জরিমানা দিবোনা। চিল্লাচিল্লি করছে কেন।
ফিরোজ নামের এক ব্যাক্তি প্রতিবাদ করায় সজিব মৃধা তার সাথে বাকবিতণ্ডায় জরায় এবং তাকে দেখে নেওয়ার হুমকি প্রদান করে। আলী আকবর নামে স্থানীয় এক মুরুব্বি জানায় আমি তার সজিবের বাবার সাথে কথা বলে সমাধানের চেষ্টা করছি। কিন্তু সজিব বলে আমি প্রয়জোনে থানায় দুই লাখ খুয়াবো তবুও জরিমানা দিবোনা। ভুক্তভোগী অসহায় হতদারিদ্র আলতাফ অন্যের গরু বরগা রেখে পরিবারের জিবীকা নির্বাহ করে বলে জানান।
কোন উপায়ান্ত না পেয়ে বন্দর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। এতে বন্দর থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিচারের আশ্বাস দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলে সজিব পালিয়ে যায়। এই ঘটনায় প্রায় পঞ্চাশজন লোক সজিবের বিরুদ্ধে সাক্ষ দেন পুলিশের কাছে। স্থানীয়রা বলেন জনবসতির মধ্যে ক্ষমতার জানান দিতে সজিব মৃধা বছরের পর বছর এই অবৈধ ইট ভাটাটি চালিয়ে আসছেন।
পরিবেশ অধিদপ্তরকে ফাকি দেওয়ার জন্য কখনো রোজ, কখনো এম এনবি,কখনো নেক্সট এর নামের কোন শেষ নেই একই মালিকের এই ইটভাটার। দীর্ঘ কয়েক বছর যাবৎ এলাকার পরিবেশ নষ্ট করে অন্যের জমিতে অবৈধ ভাবে মাটি কেটে এই ইটভাটাটি চালিয়ে আসছেন এই ক্ষমতাধর রাঘববোয়াল। এর দুরদর্শিতার কাছে হার মানে প্রশাসন পর্যন্ত। সর্বশেষ সজিবের বলির পাঠা হলো অসহায় আলতাফ। এর সুষ্ঠ বিচার দাবী করছেন এলাকাবাসী।