বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ গভীর রাতে শিক্ষককে ধরে নিয়ে ষড়যন্ত্র মুলক মামলায় ফাঁসানোর ঘটনার প্রতিবাদে বাগেরহাটের শরনখোলায় মানবন্ধন করেছে ক্ষুদ্ধ শিক্ষকরা। প্রধান শিক্ষক শহিদুলের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত ওই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে রবিবার সকালে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দের আয়োজনে উপজেলা সদরের রায়েন্দা বাজারের শহীদ মিনার সড়কে এই মানবন্ধন অনুষ্ঠিত হয় ।
এতে বক্তব্য রাখেন, প্রধান শিক্ষক মো. সুলতান আহম্মেদ, সহকারী শিক্ষক মাও. নুরুল-আমিন, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নেতা মো.
আলমগীর হোসেন, মো. জাকির হোসেন ,মো. বেলায়েত হোসেন, (সাবেক) প্রধান শিক্ষক হারুনঅর-রশিদ ,সহকারী শিক্ষক মো. আমিনুল ইসলাম, মো.মিজানুর রহমান ও সমাজ সেবক মো. ওবায়দুল হক প্রমুখ।মানববন্ধন চলাকালীন উক্ত স্কুলের প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীরা এবং স্হানীয়রা এই মানববন্ধনের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেন।
এ সময় ক্ষুদ্ধ শিক্ষক, প্রাক্তন ছাত্র ও স্হানীয়রা অনতিবিলম্বে শিক্ষক শহিদুলের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রতাহার সহ তার নিঃশর্ত মুক্তির দাবী জানান । তারা আরও বলেন একটি চক্র তার কাছে স্কুল সংক্রান্ত বিষয়ে অনৈতিক সুবিধা না পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ন্যাক্কার জনক এমন মামলায় তাকে ফাঁসিয়ে দিয়েছেন।
ঘটনার বিবরনে শিক্ষকরা জানান , উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের চালিতাবুনিয়া এলাকার বাসিন্দা আ. কাদের হাওলাদারের ছেলে ও ৪৭ নং শরনখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শহিদুল ইসলাম (৪৫)এর বিরুদ্ধে এক শিশুকে যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলে উপজেলার সোনাতলা (মড়েল বাজার) এলাকার বাসিন্দা মো. কাঞ্চন বয়াতীর ছেলে মামলাবাজ রাজমিস্ত্রী মো.কালাম হোসেন বয়াতী (৩৮) বাদী হয়ে সম্প্রতি শরনখোলা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
উক্ত মামলায় পুলিশ ইতিমধ্যে শহিদুলকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠায়। তবে, ওই শিক্ষকের পরিবারের অভিযোগ, ৭জুন (সোমবার ) গভীর রাতে শহিদুলকে বাড়ী থেকে উঠিয়ে নিয়ে আসে শরনখোলা থানা পুলিশ। পরবর্তীতে থানায়
আটক অবস্থায় ৮জুন কামাল বয়াতি বাদী হয়ে শহিদুলের নামে একটি নারী নির্যাতন মামলা করেন । ওই মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে জেল হাজতে পাঠায় পুলিশ । এছাড়া মামলার বাদী কামাল বয়াতী একজন মামলাবাজ লোক ।
তার নামে একাধিক মামলা রয়েছে । মানুষকে হয়রানি করে অর্থ আদায় করাই তার পেশা।