কামরুজ্জামান শিমুল বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি: বাগেরহাট জেলা বিএনপি’র আহবায়ক ইঞ্জি: এটিএম আকরাম হোসেন তালিমকে লাঞ্ছিত করেছে বিরোধী গ্রুপের সদস্যরা। সোমবার (৭ জুন) বেলা তিনটায় বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪০ তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে বাগেরহাট জেলা বিএনপি কার্যালয়ে (থানার মোড়ে) ভার্চুয়াল প্রোগ্রামে এই অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশি হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
ভার্চুয়াল প্রোগ্রাম চলাকালীন বিরোধী গ্রুপের বাগেরহাট পৌর বিএনপি’র সাবেক সভাপতি ও জেলা আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শেখ শাহেদ আলী রবির নেতৃত্বে ২৫/৩০ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল বেলা চারটার দিকে জেলা বিএনপি কার্যালয়ে প্রবেশ করে। তারা বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে হইহুল্লোড় করে অফিসের আসবাবপত্র ছোড়াছুড়ি করতে থাকে। আহবায়ক সাহেব তাদেরকে শান্ত হতে বললে সংগবদ্ধ দলটি তার উপর আক্রমণ করে বসে। তাকে গালমন্দ করে বেশ কয়েকটি ধাক্কা দেয়।
ভার্চুয়াল প্রোগ্রামে উপস্থিত জেলা বিএনপি নেতা কামরুল ইসলাম গোরা, লায়ন ড. ফরিদুল ইসলাম, মঞ্জুর মোর্শেদ স্বপন, ব্যারিস্টার শেখ মোহাম্মদ জাকির হোসেন, অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান, ডাক্তার আব্দুর রহমান, সৈয়দ নাসির আহমেদ মালেক, সরদার অহিদুল ইসলাম পল্টু, হাজরা আসাদুল ইসলাম পান্না, জেলা যুবদলের সভাপতি হারুন আল রশিদ, সাধারণ সম্পাদক সুজা উদ্দিন মোল্লা (সুজন মোল্লা) সহ তাঁতীদল, মহিলা দল, মৎস্যজীবী দল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের সাথে বিরোধী গ্রুপের ব্যাপক বাক-বিতণ্ডা চলাকালীন পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং ভার্চুয়াল প্রোগ্রাম বন্ধ করে দেয়।
এ বিষয়ে জেলা আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শেখ শাহেদ আলী রবি বলেন, জিয়াউর রহমানের ৪০ তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে সোমবার বিএনপি অফিসে ভার্চুয়াল প্রোগ্রাম ছিল। এই প্রোগ্রামে আমাদের কাউকে দাওয়াত দেওয়া হয় নাই। এই আহবায়ক কমিটি অনুমোদন হওয়ার পর থেকে আহবায়ক সাহেব দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে যা ইচ্ছে তাই করে বেড়াচ্ছেন।
আহ্বায়ক কমিটির অনেক সদস্যকে তিনি কখনো ডাকেন না। আজকের প্রোগ্রামে আমাদের না ডাকার কারণ জানতে চাইলে জেলার আহবায়ক আমাদের সাথে দুর্ব্যবহার করলে অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা তাকে ধাক্কা দেয়, উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে পুলিশ এসে সামাল দেয়। জেলা বিএনপি’র আহবায়ক ইঞ্জিনিয়ার এটিএম আকরাম হোসেন তালিম বলেন, বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জেলা কমিটি ঘোষণা করলে তারা ওই কমিটি অবাঞ্চিত ঘোষণা করে, সকল প্রোগ্রামেই তাদেরকে দাওয়াত দেওয়া হয়, তারা আসে না। গত পৌর নির্বাচনেও তারা অংশ গ্রহণ করে নাই।
এই প্রোগ্রাম জেলা সদস্য সচিবের মাধ্যমে তাদের জানানো হয়েছে। তারা মূলত তারেক রহমানের নির্দেশনা মানেনা জেলা কমিটির সদস্য শাহেদ আলী রবি, হাদিউজ্জামান হিরো, মেহেবুবুল হক কিশোর, স্বেচ্ছাসেবকদলের তানু ভূঁইয়াসহ ২৫/৩০ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল শহীদ জিয়াউর রহমানের ৪০ তম মৃত্যুবার্ষিকীর এই প্রোগ্রাম পন্ড করতে এসেছিল। এই দুর্দিনে দলের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা এসব সন্ত্রাসীদের দল থেকে বহিষ্কারের জন্য সুপারিশ করা হবে।