নিজস্ব প্রতিবেদক : টেকসই আয় বৃদ্ধিমূলক দক্ষতা তৈরির পদক্ষেপ নেয়ায় কৃষি ও মৎস্য খাতের উদ্যোক্তারা টেকসই উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারবে। ক্যাপাসিটি বিল্ডিং অফ ইয়াং এন্টারপ্রিনিউয়ারস ফর দ্যা ভাইটালাইজেশন অফ দ্যা ডিজিটাল গিগা আইল্যান্ড অফ মহেশখালী (সিইভিএম) প্রকল্পের উদ্বোধনী কর্মশালায় বক্তারা এ কথা বলেন। ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ রোহিঙ্গা ক্রাইসিস রেসপন্স ও রিসোর্স ইন্ট্রিগ্রেশন সেন্টারের (রিক) উদ্যোগে মহেশখালী উপজেলা পরিষদ হল রুমে গতকাল এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মহেশখালীর উপজেলার নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ ইয়াসিন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ মহেশখালীতে তরুণ উদ্যোক্তাদেরকে ই-কমার্সে জড়িতের যে পদক্ষপ নিয়েছে তা খুবই সময়োপযোগী। বিশেষ অতিথি কোইকা-বাংলাদেশ -এর কান্ট্রি ডিরেক্টর ইয়ং আহ্ দোহ বলেন, কোইকা ২০১৭ সালে এমন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে,মহেশখালীতে আইটি সেন্টার ও একদল তরুণ উদ্যোক্তা তৈরিতে সহায়তা করছে। উদ্বোধনী বক্তব্যে ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ রোহিঙ্গা ক্রাইসিস রেসপন্স ডিরেক্টর ফ্রেডরিক ক্রিস্টোফার বলেন, বিশে^র সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশেও একই গতিতে ই-কমার্সের বিকাশ ঘটছে। আগামী ৫ বছরে বাংলাদেশের অধিকাংশ ব্যবসা-বাণিজ্য অনলাইনে হবে। ২০২৩ সালে আইসিটি রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ৫ বিলিয়ন ডলার লক্ষ্য অর্জনে সিইভিএম প্রকল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। বিশেষ অতিথির আরো বক্তব্য রাখেন, ওয়ার্ল্ড ভিশন কোরিয়ার ডিরেক্টর মিনহুকায় কিং, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জহির উদ্দিন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মিনু আরা বেগম। উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্য, তরুণ উদ্যোক্তা, শুঁটকি উৎপাদনকারী, রিক, ওয়ার্ল্ড ভিশন কোরিয়া ও বাংলাদেশের কর্মকর্তারা।
প্রসঙ্গত, কোইকা’র অর্থায়নে মহেশখালী পৌরসভাসহ চারটি ইউনিয়নে বাস্তবায়িত সিইভিএম প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ই-কমার্স বিজনেস, কৃষি ও মৎস্য খাতে ৯০ জন তরুণ উদ্যোক্তা এবং ২৫০ জন উৎপাদনকারীর দক্ষতা বৃদ্ধি করা হবে।