নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রাম রাঙ্গুনিয়া উপজেলার বেতাগী ৭নং ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের মোঃ নুর নবী নামের এক প্রবাসীর পৈত্রিক সম্পত্তি জোরপূর্বক দখল করে নির্মাণ কাজ করার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন প্রবাসীর পরিবার। বুধবার ( ৫ জুন) সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সুলতান আহমদ হলে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন প্রবাসীর স্ত্রী নুর নাহার বেগম মিনু।
লিখিত বক্তব্যে মিনু বলেন, আমার স্বামী মোঃ নুর নবী একজন প্রবাসী। ২০২১ সাল থেকে একই এলাকার ভুমিদস্যু কামাল উদ্দিন, জসিম উদ্দিন, সন্ত্রাসী খোকন মিয়াজী, রেজাউল করিম, খোকন মির্জা ও মাহমুদা বেগম কাজলী যোগসাজশে আমার স্বামীর পৈত্রিক সম্পত্তি জোরপূর্বক দখল করার চেষ্টা করে আসছে। পরে জোর দখলের বিষয়টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বারের কাছে জানানো হলেও তাতে আমরা কোনো প্রতিকার পায়নি। পরবর্তীতে আমি রাঙ্গুনিয়া থানার দ্বারস্থ হলে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাবেক চেয়ারম্যান কুতুবউদ্দিনকে বিচারের দায়িত্ব দেন। কুতুবউদ্দিন মিমাংসা করে দেওয়ার কথা বলে উভয়কেই ডেকে ৬০ হাজার টাকা দাবী করলে ন্যায্য বিচারের আশায় উভয়ে ৬০ হাজার টাকা প্রদান করি। এতে মিমাংসাতো দূরের কথা জোর দখলকারীদের চেয়ারম্যান আরও সহযোগিতা করেন বলে জানান মিনু।
তিনি আরও বলেন, থানা থেকে বিচারিক দায়িত্ব প্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কাছ থেকে বিচার না পাওয়ার বিষয়টি পরবর্তীতে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাছে জানালে থানা পুলিশ আমাদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে এবং আমাদেরকে উচ্ছেদে অবৈধ দখলদারদের সহযোগিতা করে। পরে থানা পুলিশ থেকে কোনো সহায়তা না পেয়ে আমরা রাউজান ও রাঙ্গুনিয়া সার্কেল অফিসারকে বিষয়টি জানাই। বিষয়টি ওনাকে জানানোর পর তিনি আমাদের সাথে প্রতিপক্ষের মতো আচরণ করতে থাকে। এক পর্যায়ে সার্কেল অফিসার ভূমিদস্যুদের পক্ষে অবস্থান নেন যার ফলে ভূমিদস্যুরা আমাদের নির্মাণাধীন ভবনের ফাউন্ডেশনের সব পিলার কেটে নিয়ে জমি দখলের চেষ্টা করে। পরে সার্কেল অফিসারের কাছেও কোনো সহযোগিতা না পেয়ে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার মহোদয়ের নিকট লিখিত অভিযোগ করি। পুলিশ সুপার মহোদয় বিষয়টি সার্কেল অফিসারকে দেখার নির্দেশ দিলেও এখনো পর্যন্ত তিনি সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। অথচ জমি বিরোধের বিষয় নিয়ে আদালতে মামলা চলমান রযাহার সিআর মামলা নং- ১৬৪/২০২৪। তবুও পুলিশ প্রশাসন থেকে কোনো ধরনের সহযোগিতা পায়নি। তাই সুষ্ঠু বিচার চেয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, আইজিপি, বিভাগীয় কমিশনার ও পুলিশ সুপারের সহযোগিতা ও আইনি হস্তক্ষেপ কামনা করেন প্রবাসীর স্ত্রী ভুক্তভোগী নুর নাহার বেগম মিনু। এসময় উপস্থিত ছিলেন, মোঃ সৈয়দ, মোঃ ইলিয়াস, রুবি আক্তার ও মনোয়ারা বেগম।