ইজাজুলঃ রাজধানীর তুরাগ থানার ৫২ নং ওয়ার্ডে ১৭ নং সেক্টরে সরকারী জায়গা দখল করে চাঁদাবাজি চলছে। ১৭ নং সেক্টরের বিজিএমইএ ভবন সংলগ্ন রোডের পূর্বপাশে রাজউকের জায়গায় অবৈধভাবে দখল করে দোকানপাট বসাতে দেখা গেছে। প্রায় ৩০টি প্লট দখল করে পজিশন ভাড়া দিয়েছে। রাজউকের এই বিস্তৃর্ণ জায়গা দখল করে পজিশন ভাড়া দেওয়া, অবৈধ ভাবে বিদ্যুৎ সর্বরাহ ও ওয়াসার অনুমতি ছাড়াই অবৈধ ভাবে সাবমারসিবল মটর সংযোগ স্থাপনের মত গুরুতর অভিযোগ উঠেছে এখানকার ক্ষমতাশীন দলের নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে। স্বরজমিনে গিয়ে দেখা যায় রমরমা দখল বাজি আর অবৈধ ভাবে বিদ্যুৎ সংযোগসহ নানাবিধ কর্মকান্ডের চিত্র।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এই বেপরোয়া দখলবাজির নেপথ্যে রয়েছে তুরাগ থানার সাবেক ছাত্রলীগের সভাপতি ও বর্তমান অত্র থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী শফিক। শফিকের নেতৃত্বে কয়েকজন আওয়ামী লীগের নাম ভাঙ্গিয়ে এই দখল বাজি চালাচ্ছে। সরকারী জায়গা অবৈধ দখল বিষয়ে আওয়ামী লীগের নেতা শফিক বলেন, আমরা আওয়ামী লীগের নেতা আওয়ামী লীগ করি, বিভিন্ন দলীয় কর্মসূচিতে লোক ভাড়া করে নিয়ে যেতে হয় খরচাপাতির যোগান দিতে এই বাজার বসাচ্ছি। তবে আমার সাথে আরও আওয়ামী লীগের কর্মীরা জড়িত আছে তাদের নাম আমি এখন বলবোনা। ওয়াসার অনুমতি ছাড়াই অবৈধ ভাবে সাবমারসিবল মটর সংযোগ স্থাপনের বিষয়ে শফিক বলেন আমার অনুমতি আছে। তবে ওয়াসার সূত্র মতে সাবমারসিবল মটর সংযোগ স্থাপনের জন্য জায়গার মালিকানার ডকুমেন্টস সহ কাটিং পারমিট প্রয়োজন আর সরকারী জায়গা দখল করে সেই জায়গায় কাটিং পারমিট কিভাবে পায়?
এবিষয়ে রাজধানী উন্নয়ন কতৃপক্ষ রাজউক এর পিডি হাফিজুর দি ক্রাইম কে বলেন, এই জায়গা একবার উদ্ধার করেছি। এবার বিনা নোটিশে ভেঙে দেওয়া হবে আমি স্বরজমিনে আমাদের ইন্জিনিয়ার পাঠিয়ে দেখে দ্রুত ব্যাবস্থা নিচ্ছি।
সাবমারসিবল মটর সংযোগ এর বিষয়ে পিডি বলেন, এটা আমি ওয়াসার ইন্জিনিয়ারকে জানিয়েছি তারা ব্যাবস্থা নেবেন। ভূমিদস্যু শফিকের তুরাগ থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থীর বিষয়ে ঢাকা উত্তর মহানগর আওয়ামী লীগের সংগ্রামী সভাপতি শেখ বজলুর রহমান বলেন, দলের নাম ভাঙ্গিয়ে কোন দখল বাঁজ চাঁদা বাঁজরা জায়গা পাবেনা।