সোহেল রানা,নাটোর প্রতিনিধিঃ সালিশি বৈঠকে ডেকে আতাউর গণি (৪০), সেলিম রেজা (৫২) ও জহুরুল ইসলামকে (৪৫) কুপিয়ে যখমের অভিযোগ পাওয়া গেছে সাজেদুর সরদারদের বিরুদ্ধে। শনিবার সন্ধার দিকে গুরুদাসপুরের ধারাবারিষা ইউনিয়নের সোনাবাজু বাজারে ওই ঘটনা ঘটেছে।
গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগরে চিকিৎসক সঞ্চিতা সরকার বলেন, আহত সেলিম রেজা (৫২) ও জহুরুল ইসলামকে (৪৫) গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
তবে আতাউর গণির মাথার পিছনে গভির ক্ষত রয়েছে। ধাড়ালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়েছে। পরিস্থিতি খুবই গুরুতর হওয়ায় সেলাই ছাড়াই দ্রুত রামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আহত আতাউর ঝাকড়া গ্রামের মৃত জহির উদ্দিনের ছেলে। আহত অপর দুইজনের বাড়ি গুরুদাসপুর পৌর সদরের পার-গুরুদাসপুর মহল্লায়। অভিযুক্ত সাজেদুর সোনাবাজু গ্রামের মৃত আব্দুল হামিদের ছেলে। তিনি অবসরপ্রাপ্ত প্রকৌশলী। তাদের বিরুদ্ধে অন্যের জমির দখলের অভিযোগ রয়েছে।
এ্যাম্বুলেন্সে শুয়ে আহত আতাউর গণি জানান, দীর্ঘদিন ধরে তাদের ১৪০ শতাংশের একটি পুকুর সাজেদুরকে লিজ দিয়েছেন তারা। কিন্তু লিজের টাকা সময় মতো পরিশোধ করতেন না সাজেদুর।
এনিয়ে গত বছর সালিশী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে লিজটি বাতিল করা হলেও প্রভাবখাটিয়ে পুকুরটি দখলে রাখেন সাজেদুর।
তিনি বলেন, শনিবার সন্ধায় পুকুরটি ফিরিয়ে দেওয়া হবে এমন প্রলোভন দিয়ে একটি সালিশী বৈঠকের আয়োজন করেন সাজেদুর। ঘনিষ্টজনদের নিয়ে সালিশে উপস্থিত হয়েছিলেন তারা।
সালিশের এক পর্যায়ে অভিযুক্ত সাজেদুর, লিটন সরদার, সাইফুল সরদার, শরিফুল সরদার, ময়না ও জরিপসহ ১০ থেকে ১৫ জন তাদের ওপর হামলা চালান। এসময় তার মাথায় চাইনিজ কুড়াল দিয়ে উপর্যপুরি কোপানো হয়। এতে আহত হন তাদের দুই স্বজনও।
ধারাবারিষা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বেশ কয়েক দিন আগে বিষয়টি নিয়ে তিনি সালিশ করেছিলেন। সেখানে পুকুরটি ছেড়ে দেওয়ার কথা ছিল সাজেদুরের।
সাজেদুর রহমানের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়ায় তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। অভিযুক্ত জরিপ বলেন, সালিশে তার ওপরেই হামলা চালানো হয়। মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এরপর কি হয়েছে তিনি জানেন না। তবে ঘটনার সময় সাজেদুর রহমান ছিলেন না।
গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, সংঘর্ষের কথা তিনি শুনেছেন। ঘটনাস্থল এবং হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে এব্যাপারে কেউ কোন অভিযোগ করেন নি।