শেখ মোঃ সাইফুল ইসলাম, (গাইবান্ধা) প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে বজরা হাতিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের বেহাল অবস্থা থেকে উত্তরণের লক্ষে শীর্ষক আলোচনা সভা ও সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চৌধরী বাজার যুব সমাজের আয়োজনে বজরা হলদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে অবসরপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষক আলহাজ্ব জহুরুল ইসলাম খাজা’র সভাপতিত্বে ও যুবলীগ নেতা মুয়িদ হাসান আনন্দ চৌধুরীর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ধোপাডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সুজা, সিরাজগঞ্জ আলতাফ হোসেন মেমোরিয়াল ডিগ্রী কলেজের সহকারী অধ্যাপক, আব্দুল হাই আল মামুন। ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক, ফিরোজ কবীর মন্ডল, সুন্দরগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ও অভিভাবক কওছর আজম হান্নু , উক্ত বিদ্যালয়ের জমিদাতা, রওশন আলম বেলাল, বিশিষ্ট সমাজসেবক নুরুল ইসলাম, জাহিদ মন্ডল, রাজা সরকার, শহিদুল ইসলাম, সাজু মিয়া প্রমুখ।

এ সময় বক্তারা বলেন, বজরা হাতিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের বেহাল অবস্থা থেকে উত্তরণের দাবিতে দুর্নীতিবাজ প্রতারক অবৈধ ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের হাত থেকে বিদ্যালয়টি রক্ষা করতে হবে এবং বিদ্যালয়ের ওয়াস ব্লক তৈরির করার জন্য বিদ্যালয়ে একটি ক্লাস রুম কেটে ওয়ার ব্লগ তৈরি করে অত্র বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে ৩০০ টাকা করে ওয়াশব্লকের চাঁদা আদায় করেন।
এমনকি বিদ্যালয়ে পকেট কমিটি গঠন করে নিয়োগ-বাণিজ্যে এক পদে তিন থেকে চারজন ব্যাক্তির কাছ থেকে ১০ থেকে ১২ লক্ষ টাকা করে ঘুষ গ্রহণ করে বিদ্যালয়টি বেহাল অবস্থায় পরিণত করেন।
তাই বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এর নিকট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সুষ্ঠু তদন্ত কমিটি গঠন করে দ্রুত আইন আনুক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করেন।

এবিষয়ে বজরা হাতিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ সোহরাব আলী শিক্ষক নিয়োগ-বাণিজ্যের কথা শিকার করে বলেন, সাবেক কমিটি’র সভাপতি শিক্ষক নিয়োগের টাকা নিয়ে বিদ্যালয়ের শ্রাণীকক্ষ গুলো সংস্কার করার কথা ছিল, পরে আর সম্ভাব হয় নি।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, মাহামুদ হাসান মন্ডল জানান, বজরা হাতিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ পেয়ে আমরা তদন্ত শুরু করিতেছি, অভিযোগের সত্যতা পেলে তার বিরুদ্ধে আইন গত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।