নিজস্ব প্রতিবেদক: কক্সবাজার শহরের বিভিন্নস্থানে ইয়াবা কারবারীরা বেপরোয়া হয়ে পড়েছে। প্রশাসনের চোখক ফাঁকি দিয়ে রোহিঙ্গা নাগরিকদের দিয়ে ইয়াবার পাচার করে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পাচার করছে মাদক চক্রের সদস্যরা। বিশেষ করে বাঁকখালী নদী ও সাগরের বিভিন্ন পয়েন্ট ব্যবহার করে এসব অপকর্ম চালিয়ে আসছে তারা। প্রশাসন একটু নড়েচড়ে বসলেই, মাদক কারবারিরা কিছুদিন গা ঢাকা দিলেও পরবর্তীতে ফের ইয়াবা পাচারে সক্রিয় হয়ে উঠে।
অভিযোগ উঠেছে, দক্ষিণ কলাতলীর সৈকত পাড়ার আব্বাসের পুত্র গুরা মিয়া, মোহাম্মদ নজির আহম্মদের মোহাম্মদ জাকের হোসেন ও মোহাম্মদ ফরিদের নেতৃত্বে একটি চক্র কৌশলে ইয়াবা পাচার করছে। বিশেষ করে থানা পুলিশের সোর্স পরিচয় দিয়ে হোটেল মোটেল জোনের মাদক ব্যবসা থেকে শুরু করে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করছে গুরা মিয়া ও জাকির। তাদের রয়েছে জেলাসহ দেশের বিভিন্নস্থানে ইয়াবা সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেট নানান চল-চাতুরীর মাধ্যমে নিরবে ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এই সিন্ডিকেট এমন অপরাধ কর্মকান্ড করে বিগত ২ বছরে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। তাদের সম্পদের পাহাড় নিয়ে খোদ এলাকাবাসীদের মাঝে কানাঘুষা চলছে। তাদের সিন্ডিকেটে রয়েছে শহরের ০৬নং ওয়ার্ডের সাহিত্যিকা পল্লীর এলাকার শুক্কুর, পিএমখালী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের মোহাম্মদ আলী মাহাম্মদের পুত্র মোহাম্মদ আজিজ ও তার পিতা মোহাম্মদ আলী মাহাম্মদ । তাদের নেতৃত্বে পুরো জেলায় ইয়াবা পাইকারী ও খুচরা বিক্রি করা হয় বলে নির্ভরযোগ্য সুত্র জানায়।
তাদেরকে গ্রেফতার করলেও আইনের ফাক ফোকর দিয়ে বেরিয়ে আসে বলে এলাকাবাসীদের অভিমত। সম্প্রতি এই সিন্ডিকেটের অন্যতম সদস্য রাসেল কলাতলী নিজ বাড়ি থেকে ১ লাখ ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে আটক হয়। সে আটক হওয়ার তাঁর সিন্ডিকেটের অন্যরা বেশ সতর্কতার সাথে পা ফেলছে।
এদিকে শহরের টেকপাড়া, পাহাড়তলী, বাদশা ঘোনা, বৈদ্যঘোনা, ঘোনার পাড়া, বড় বাজার, তারাবনিয়ার ছড়া, রুমালিয়ার ছড়া, এবিসি ঘোনা, চেয়ারম্যান ঘাটা, সাহিত্যিকা পল্লি, গরুর হালদা সড়ক, বিজিবি ক্যাম্প এলাকার আশপালের এলাকা, হর্টিকালচারের আশপাশের এলাকা, কলাতলী, হলিডে মোড়, সৈকত পাড়া, ঝিরঝিরি পাড়া, আদর্শ গ্রাম, চন্দ্রিমা এলাকা, বাসটার্মিনাল এলাকা, সমিতি বাজার, সমিতি পাড়াসহ একাধিক স্থানে ওই সিন্ডিকেটের অর্ধশতাধিক সদস্য ইয়াবার সাম্রাজ্য বিস্তার করছে। এদের কেউ ইয়াবা পাচারে বাধা প্রদান করলে উল্টো ইয়াবা ব্যবসার তকমা-হামলাসহ নানাভাবে হয়রানি করা হয়। ফাঁসিয়ে দেওয়া হয় মিথ্যা মামলায়ও। তাদের এমন আচরণের কারণে অনেক নিরহ মানুষ মিথ্যা মামলার শিকার হয়ে জেলের গ্লানি টানছে। এই অবস্থায় চিহ্নিত এসব ইয়াবা ব্যবসায়ীদের লাগাম টেনে ধরতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সুনজর কামনা করেছেন সুশীল সমাজ।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, মাদকসহ অপরাধ নিয়ন্ত্রণে পুলিশ দিনরাত নিরলসভাবে কাজ করছে। মাদক নির্মূলে জেলা পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তাদের ব্যাপারে খোঁজ খবর নিয়ে মাদক কারবারি হলে প্রমাণসহ আইনের আওতায় আনা হবে।