নুরনবী সরকার,বিশেষ প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রাম জেলার কচাকাটায় সৎ বাবা কর্তৃক সৎ মেয়েক ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।কচাকাটা থানা পুলিশ অভিযুক্ত ঐ পিতাকে আটক করেছে এবং নির্যাতনের সিকার ঐ মেয়কে উদ্ধার করে ভুরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়।
(২৭ মে ) বৃহস্পতিবার কচাকাটা থানার বলদিয়া ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের পরশুরাম কুটি মিলন বাজার নামক গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।ভুক্তভোগী ঐ কন্যার মা নিজ স্বামী ও সৎ পিতাকে আসামী করে কচাকাটা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।সৎ মা ও মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়,পরশুরামের কুটি মিলন বাজারের মৃত্যু মোহাম্মদ আলীর ছেলে মোঃ চাঁন মিয়া দ্বিতীয় বিয়ে করেন ঐ ভুক্তভোগীর মাকে।ভুক্তভোগী মেয়েটি ছোট ও কম বয়সী হওয়ায় মায়ের সাথে সৎ বাবার সংসারে আসে।চাঁন মিয়া তার দ্বিতীয় বউকে একটি ভাড়া বাড়িতে রাখে।এই ভাড়া বাড়িতে ভুক্তভোগী মেয়েটি তার মায়ের সাথে থাকে।
অভিযুক্ত চাঁন মিয়া প্রতিদিন এই বাড়িতে না আসলেও মাঝে মধ্যে আসা যাওয়া করে।মেয়েটি কম বয়সী হওয়ায় তারা একই বিছানায় থাকে।(২৬ মে )বুধবার রাতে চাঁন মিয়া ঐ ভাড়া বাড়িতে আসে।তারা তিনজনই একই বিছানায় ঘুমান।সকালেই চাঁন মিয়া চলে যাবেন বলে,তার স্ত্রী ভোরে উঠে ভাত করতে পাক ঘরে যান।সৎ বাবার পাশে তখন শুয়ে থাকে ঐ মেয়েটি।এসময়ে পাশে থাকা সৎ মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টা করে চাঁন মিয়া।
(২৭ মে ) বৃহস্পতিবার ভুক্তভোগী ঐ মেয়ে তার মাকে সব কথা খুলে বলে,বেশ কিছুদিন থেকেই চাঁন মিয়া এমন আচরণ ও খারাপ চোখে দেখে বলেও জানান মেয়েটি।মেয়ের মুখে এমন লোমহর্ষক ঘটনা শুনে,বৃহস্পতিবার নিজ স্বামীকে আসামী করে কচাকাটা থানায় একটি মামলা দ্বায়ের করেন ভুক্তভোগীর মা।অভিযোগ পেয়েই কচাকাটা থানা পুলিশ অভিযুক্ত চাঁন মিয়াকে গ্রেফতার করে এবং ভিকটিমকে ভুরুঙ্গামারী উপজেলা চিকিৎসা কেন্দ্রে পাঠায়।এ বিষয়ে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ এ,এস,এম সায়েম জানান,মেয়েটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়ছে।
তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য কুড়িগ্রাম পরীক্ষাগারে পাঠানোর পরামর্শ দেয়া হয়েছে।কচাকাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মাহবুব আলম বলেন,(২৮) মে শুক্রবার গ্রেফতারকৃত চাঁন মিয়াকে আদালতে পাঠানো হয়েছে,যেহুতু ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ সেহুতু মেয়েটিকে তার মায়ের কাছে রাখা হয়েছে।পরবর্তীতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিতে ভিকটিমকে আদালতে পাঠানো হবে।