এজি কায়কোবাদ, বিশেষ প্রতিনিধিঃগত বুধবার রাতে দেশীপাড়ার একটি নির্জন টেক এলাকায় কালীগঞ্জের নরুন বাজার এলাকার বাসির উদ্দিন বেপারীর মেয়ে ফেরদৌসি (৩০) ও তার শিশুকন্যা তাসমিয়া (৫)কে গলা কেটে হত্যা করা হয়।
এ ব্যাপারে পরের দিন নিহত ফেরদৌসীর ভাই ইজ্জত আলী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
এ ঘটনায় জড়িত দুইজনকে কালীগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করেছে জিএমপি পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- কালীগঞ্জের সালদিয়া গ্রামের ছাত্তার খানের ছেলে জাহিদুল ইসলাম খান (২১) এবং একই এলাকার মনির হোসেনের ছেলে মোঃ মহিউদ্দিন ওরফে বাবু (৩৫)।
আজ ২৭ নভেম্বর (শনিবার) মেট্টোপলিটন পুলিশের সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ-উত্তর) জাকির হাসান।
সংবাদ সম্মেলনে উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ-উত্তর) জাকির হাসান বলেন, নিহত ফেরদৌসী গাজীপুরের গার্ডিয়ান লাইফ ইন্সুরেন্স নিমিটেডের মাঠকর্মী হিসেবে কাজ করতেন। ওই ইন্সুরেন্স কেম্পানীতে ভাতিজি লিমাকেও চাকরির ব্যবস্থা করে দেন। চাকরির পাওয়ার পর লিমা তার স্বামীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটায়। এ বিচ্ছেদে ফেরদৌসীর ইন্ধন রয়েছে এমন সন্দেহে এবং ইন্সুরেন্সের কিস্তির টাকার জন্য বার বার ফোন দেয়ায় গ্রেপ্তার দুজনে মিলে ফেরদৌসীকে হত্যা করে। হত্যাকাণ্ড দেখে চিৎকার করলে সাক্ষী মুছে ফেলতে এ সময় মেয়েকেও খুন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, গাজীপুর মেট্টো পুলিশের এডিসি রেজওয়ান আহমেদ, সদর জোনের এসি রিপন চন্দ্র সরকার, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো: রফিকুল ইসলাম।