ইজাজুল ঃ পানি উন্নয়ন বোর্ডের যায়গা অবৈধ ভাবে দখল করে চাঁদা বাজি চালছে প্রায় এক যুগ ধরে।রাজধানীর উত্তরা এবং টঙ্গির প্রধান সড়কের মধ্যস্থল আব্দুল্লাহপুর।বাসস্ট্যান্ডের পূর্বপাশে তাকলেই চোখেপড়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা কুতুবউদ্দিন রোড।এ রাস্তাটি কোডবাড়ি রেলগেট পেরিয়ে সোজা ময়নারটেক – উলুখোলা রোড।
বেড়িবাঁধ থেকে রেলগেট পর্যন্ত লক্ষ করলেই চোখে পড়ে উভয় পাশে নানা ধরনের সারি সারি দোকান।যেমন কাঁচাবাজার, ফল, মাছ, মাংস,মুদি, চা, কসমেটিক, হিউম্যান মেডিসিনের দোকান- ফার্মেসী, ।
সবমিলিয়ে রাস্তার দুপাশে শতাধিক ছোট-বড় দোকান। এসব দোকান গুলি একদিকে যেমন রাস্তা সংকোচন সৃষ্টি করেছে আবার যানচলাচলেও যানজটের দুর্ভোগ সৃষ্টি করে। এখন প্রশ্ন হলো প্রশাসনের নাকের ডগায় এসব নিয়ন্ত্রণ করছে কে।
প্রায় প্রতিদিন দোকান প্রতি ৩শ থেকে ৬ শত টাকা চাঁদা নেওয়া হয় যা দিনশেষে প্রায় ৬০-৭০ হাজার টাকার অংক। খোজ নিয়ে যানা গেছে এই চাদাবাজ আরকেউ নয় সে ১নং ওয়র্ডের কথিত যুবলীগ নেতা জাকির। পূর্বথানা আওয়ামী লীগের এক প্রভাশালী নেতার ছত্রছায়ায় বেপরোয়া ফুটপাত চাঁদা বাজ জাকির এ সব কাজ করে বলে যানা গেছে।
জাকির নিজেকে ১নং ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা দ্বাবি করলেও দলে কোন অস্তিত্ব মেলেনি। উত্তরা পূর্বথানা ও অধিনস্থ আব্দুল্লাহপুর পুলিশ ফাড়ির নাকের ডগায় এসব চাদাবাজি চলছে তাই সাধারণ মানুষের মনে একটাই প্রশ্ন বেপরোয়া চাদাবাজ জাকিরের খুটির জোড় কোথায়? অবৈধভাবে রাস্থার দু পাশে দোকান স্থাপনার বিষয়ে উত্তরা জোনের পুলিশ কমিশনার গণমাধ্যম কর্মীর সাথে কথপোকথন কালে বলেন, কে বা কারা এই কাজে জড়িত আমি জানিনা তবে নগর সুবিধা নিশ্চিত করনের এটা একটা সমস্যা।
উক্ত বিষয়ে সিটিকর্পোরেশন আমাদের হেল্পচাইলে আমরা গিয়ে অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করে দিবো। এ বিষয়ে উত্তরা পূর্বথানা বিট ইনচার্জ মানিক বলেন,আসলে এই ব্যাপারে আমি কিছু জানিনা এটা আমার নলেজে নাই এটা সরেজমিনে দেখতে হবে, পরে এব্যাপারে আপনার সাথে আমি কথা বলবো। এদিকে পূর্বথানা ফাঁড়ি ইনচার্জ ( তদন্ত অফিসার) ইসরাইল হোসেন দায়িত্ব শীলতার সাথে তদন্ত করে দ্রুত ব্যাবস্থা নিবেন বলে জানান ।
তবে চাঁদা বাজ জাকির বিষয় টি এড়িয়ে যাবার চেষ্টা করলেও গণমাধ্যম কর্মীর নানা প্রশ্নের জবাবে এক সময় বিষয় টি স্বীকার করে বলেন,পুলিশকে ও ১০০ টাকা করে দিতে হয়। তবে পনি উন্নয়ন বোর্ডের যায়গায় দোকান থেকে চাঁদা বাজির বিষয়ে বক্তব্য নিতে গেলে জাকির বেপরোয়া আচারণ করে,সংবাদ কর্মীকে প্রাণে মারার হুমকি দেয় ।