উপজেলা প্রতিনিধি : বর্ষা শুরু হওয়ার আগেই দ্রুত পাহাডী ঢল ও বৃষ্টির পানি দ্রুত নিষ্কাশনের জন্য খাল ও নালাগুলো সংস্কার করলেন হাটহাজারী পৌরসভার প্রশাসক। বর্ষা এলেই বুক চমকে উঠে পৌরবাসী। কারণ বিগত কয়েক বছর যাবৎ বর্ষাকালে বন্যার পানিতে ভেসে ওঠে হাটহাজারী পৌরসভার কয়েকটি ওয়ার্ড। সংশ্লিষ্ট খালগুলো পরিষ্কার না থাকায় বর্ষাকালে পাহাড়ি ঢলের পানি নিষ্কাশনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়,খালের পাড় ভাঙ্গন ও আবর্জনার স্তূপে পানির স্বাভাবিক স্রোত বন্ধ হয়ে যায়। ফলে বর্ষাকালে অল্প বৃষ্টিতেই প্লাবিত হয়ে যায় পৌরসভার কয়েকটি ওয়ার্ড। দোকান ও মার্কেটে ঢুকে পড়ে পাহাড়ি ঢলের পানি। প্লাবিত হয়ে ভেসে যায় পুকুরের মাছ ও মুরগির খামার। ক্ষনিকের ভারী বর্ষণে হঠাৎ প্লাবিত হয়ে গৃহবন্দী হয়ে যায় কয়েকটি ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। বর্ষা এলেই অতীতের কথাগুলো লোকে মুখে ভেসে ওঠে পৌরবাসীর।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, পৌর এলাকার উপর দিয়ে ছোট বড় খাল বয়ে গেছে ৬টি যার মুন্দরি ছড়া, আব্বাসিয়া পুলের খাল, হাটহাজারী বড় মাদ্রাসার পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া মরা ছড়া, হাটহাজারী মডেল থানার পাশের ছড়া, শেরে বাংলা (র:) মাজার সংলগ্ন খাল ও এগারো মাইল মরা ছডা। পানি নিষ্কাশনের জন্য নালা গুলো সংযুক্ত রয়েছে এ সব খালের সাথে। সরোজমিনে এবার দেখা গেছে, বর্ষা শুরুর আগেই খাল-নালা গুলো অনেকটাই পরিষ্কার -পরিচ্ছন্ন।
হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও হাটহাজারী পৌরসভার প্রশাসক মোঃ শাহিদুল আলম গণমাধ্যম কে বলেন, প্রশাসকের দায়িত্বটা আমার অতিরক্ত দায়িত্ব হলেো মানব সেবার এ গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বটা আমি অতি গুরুত্ব সহকারে পালন করছি। চেষ্টা করে যাচ্ছি পৌরবাসীর সেবা যেন দ্রুত তাদের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে পারি। প্রশাসক হিসেবে একগুচ্ছ পরিকল্পনার মধ্যে আমি যানজট নিরসন ও দ্রুত বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা হাতে নিয়ে বর্ষার আগেই খালগুলো পরিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছি। যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা না ফেলার জন্য পৌরবাসীর প্রতি আহ্বান জানান পৌর প্রশাসক মোঃ শাহিদুল আলম।