মোঃ রাজন মিয়া শেরপুরঃ আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে শেরপুর সদর উপজেলার ১৪ নং বেতমারী ঘুঘুরাকান্দি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে ব্রাইড শিক্ষা পরিবারের চেয়ারম্যান, ১৪নং বেতমারী ঘুঘুরাকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক,৯ নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক তারন্যের অহংকার,তরুন নেতা মোঃ রবিউল আলম (রবি),আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন।
পরিবর্তনের অঙ্গীকার নিয়ে এলাকাবাসীর দাবি পূরণে নৌকার মাঝি হতে চান জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা জনগনের প্রার্থী মোঃ রবিউল আলম (রবি)।
আগামী ইউ.পি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নৌকার মাঝি হিসেবে আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ রবিউল আলম (রবি) কে দেখতে চায় ১৪ নং বেতমারী ঘুঘুরাকান্দি ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণ ।
নির্বাচনের সময় যতই ঘনিয়ে আসছে এলাকাবাসীর মাঝে ঐক্য, জনপ্রিয়তার বন্ধন আরও সুদৃঢ় হচ্ছে।
এদিকে চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত করার জন্য চলছে সর্বস্তরের ভোটার ও নেতা কর্মীদের মুখে মুখে ব্যাপক আলাপচারিতা থেমে নেই মানুষের খোস গল্পের সেই চায়ের আড্ডায় সকল অবস্থানে শুরু হয়ে গেছে জনপ্রিয়তার আমেজ ও সকল শ্রেনীপেশার ভোটারদের ব্যাপক গুঞ্জন।
এদিকে ঐ ইউনিয়নের সব শ্রেণীপেশার মানুষ একতাবদ্ধ হয়ে চালিয়ে যাচ্ছে নানা আলোচনা। এ ছাড়াও স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও আওয়ামীগের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরাও নিস্বার্থ ভাবে রবিউল আলম রবির পক্ষে মাঠে কাজ করছে।
রবিউল আলম (রবি) বলেন,আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আমি প্রার্থী হওয়ায় এলাকাবাসীর মাঝে ব্যাপক উদ্দীপনা বিরাজ করছে,পরিবর্তনের অঙ্গীকার নিয়ে মাঠে একাট্টা হচ্ছে এলাকাবাসী। আগামী নির্বাচনে আমাকে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত করতে নিরলস ভাবে কাজ করছে এই ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণ ।
অনুসন্ধানমূলক তথ্যসুত্রে
জানায়ায়,
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় ১৪ নং বেতমারী ঘুঘুরাকান্দি ইউনিয়নের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধাদের একমাত্র আশ্রয়স্থল ছিলো এই গায়েন (বাড়ী)। তার দাদা মৃত কলিম উদ্দিন (গায়েন) ও জেঠা মোবারক আলী (মাস্টার) সহ পরিবারের সবাই মুক্তিযুদ্ধের সময় পরোক্ষভাবে দেশ তথা মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য কাজ করেছেন এবং এই আওয়ামী পরিবার আওয়ামীলীগের প্রতিটি দুর্যোগের সময় অর্থ ও শ্রম দিয়ে দলের জন্য নিঃস্বার্থ ভাবে সহযোগীতা করেছেন। তারই দারাবাহিকতায় তারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের সৈনিক হয়ে তার আদর্শকে বুকে ধারণ করে সত্য ও নিষ্ঠার সাথে সমাজ তথা ইউনিয়নের সেবা করে যাচ্ছেন এবং অত্যন্ত বিশ্বস্ততা ও দৃঢ়তার সাথে নিজ ইউনিয়ন ও উপজেলা আওয়ামীলীগের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ গ্রহণ করে একাধিক দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
যার ফলস্বরূপ দেশের এই করোনা মহামারীর ক্লান্তীলগ্নে মানুষ যখন দিশেহারা ঘরবন্দী ঠিক তখনি তিনি শেরপুর জেলা আওয়ামীলীগের বিপ্লবী সভাপতি,শেরপুর -১ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য ও মাননীয় হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা জননেতা আতিউর রহমান আতিক এমপির নির্দেশনায় ব্যক্তিগত উদ্যোগে নিজ অর্থায়নে অত্র ইউনিয়নের সর্বত্রই কর্মহীন,খেটে খাওয়া অসহায় দরিদ্র পরিবারের মাঝে কয়েক দফায় খাদ্য সামগ্রী ও বিভিন্ন উপহার সামগ্রী বিতরণ করেন এবং তার ইউনিয়নের অতিদরিদ্র ও এতিম ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য তিনি তার প্রতিষ্ঠিত ব্রাইড একাডেমি এন্ড কলেজে বিনামূল্যে শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করেন এছাড়াও তিনি তার ইউনিয়ননের সর্বস্তরের জনসাধারণের সকল বিপদে ও প্রয়োজনে নিবেদিত প্রাণ হয়ে নিঃস্বার্থ ও নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন,আমি জনগনের সেবক হতে চাই,আমাকে চেয়ারম্যান হিসেবে মনোনয়ন দিতে এবং নির্বাচিত করতে এলাকার তরুণ প্রজন্ম,যুবকসমাজ মাঠে কাজ করছে,১৪নং বেতমারী ঘুঘুরাকান্দি ইউনিয়নের সাধারণ জনগনের দাবি একটাই “পরিবর্তন”। তিনি আরও বলেন,আমি ১৪ নং বেতমারী ঘুঘুরাকান্দি ইউনিয়নকে একটি সন্ত্রাস,চাঁদাবাজ,মাদকমুক্ত আধুনিক ইউনিয়ন হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।
তার জনসমর্থন অন্যসব প্রার্থীর তুলনায় বেশি দাবি করে তিনি বলেন,দল মনোনয়ন দিয়ে আমাকে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার জন্য প্রত্যাশা পূরণের সুযোগ করে দেবে বলে আমি আশা করি।
তিনি আরো জানান, আমি মানুষের যে ভালোবাসা ও সমর্থন পেয়েছি তা অভূতপূর্ব। দলের নেতাকর্মীরা তাকে উৎসাহ দিচ্ছেন। তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করার সুযোগ পেলে বিপুল ভোটে ভোটাররা তাকে বিজয়ী করবেন বলে বিশ্বাস করেন। নির্বাচিত হলে তিনি ১৪নং বেতমারী ঘুঘুরাকান্দি ইউনিয়নকে একটি আধুনিক ও উন্নয়নের রোল মডেল ইউনিয়নে পরিণত করার অঙ্গীকার করেন।
তাই তিনি ১৪ নং বেতমারী ঘুঘুরাকান্দি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ও ইউনিয়নবাসীর সর্বস্তরের জনসাধারণের দোয়া চেয়েছেন।